প্রতিবেদন : শুধু পিএফআই নয়, নিষিদ্ধ করতে হবে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘকেও। সাফ জানালেন আরজেডি নেতা লালুপ্রসাদ যাদব। বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্য ঘিরে যথারীতি বাক্যুদ্ধে জড়িয়েছে বিজেপি ও আরজেডি। লালুপ্রসাদ যাদব কোনওরকম রাখঢাক না করেই স্পষ্ট বলেছেন, যে অভিযোগে পিএফআই-কে দেশ জুড়ে নিষিদ্ধ করা হল, সেই একই কারণে আরএসএস-কেও ব্যান করা উচিত।
আরও পড়ুন-কাঠের খোসা দিয়ে নজরকাড়া দুর্গা
আরএসএস একটি উগ্র সাম্প্রদায়িক দল। হিন্দু সাম্প্রদায়িকতা ছড়ায়। সমাজের মধ্যে জাতি-ধর্মের ভিত্তিতে বিভেদ, বিদ্বেষ ও বিভাজন তৈরি করাই সংঘের একমাত্র উদ্দেশ্য। লালুপ্রসাদের এই মন্তব্যের প্রতিবাদে সরব হয়েছে গেরুয়া শিবির। বিহার বিজেপির মুখপাত্র বলেছেন, লালুপ্রসাদ একজন রাজনৈতিক আতঙ্কবাদী। পিএফআইয়ের কার্যকলাপের সঙ্গে আরজেডির রাজনৈতিক সন্ত্রাসের কোনও তফাত নেই। নীতীশ কুমার আরজেডির হাত ধরে সরকার গড়তেই বিহারে জঙ্গলরাজ ফিরে এসেছে।
আরও পড়ুন-তিন বছরে ২৪ বিয়ে! অবশেষে ধৃত কীর্তিমান
লালুপ্রসাদ পিএফআই এবং আরএসএসকে এক বন্ধনীতে রাখতেই বিজেপি নেতা গিরিরাজ সিং বলেন, আরএসএসের একজন স্বয়ংসেবক হওয়ায় আমি গর্বিত। লালুজি বলুন, আপনি কি পিএফআই-এর সদস্য? এদিকে এই বাক্যুদ্ধের পরিপ্রেক্ষিতে রাজনৈতিক মহলের একাংশ মনে করছে, লালুপ্রসাদ এবং বিজেপি, দুপক্ষই ধর্মীয় মেরুকরণের অঙ্ক এবং সুবিধার কথা মাথায় রেখে পিএফআই এবং আরএসএসকে সামনে রেখে আসরে নেমেছে।