প্রতিবেদন: প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকড় (Jagdeep Dhankhar) ২১ জুলাই বাদল অধিবেশনের প্রথম দিনেই পদত্যাগ করেন। তারপর থেকে ধনকড় কোথায় আছেন বারবার প্রশ্ন তোলেন বিরোধী শিবিরের নেতারা। এই জল্পনার মাঝেই অজয় বাসুদেব বোস তথ্যের অধিকার আইনের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি ভবনে জানতে চেয়েছেন, প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতি ধনকড় কবে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ইস্তফা দিয়েছেন। কিন্তু এই আরটিআই- এর কোনও সদুত্তর রাষ্ট্রপতি ভবনের সচিবালয় দেয়নি। সচিবালয়ে তরফে এই সংক্রান্ত কোনও তথ্য তাদের কাছে নেই বলে জানিয়েছে। সমাজ মাধ্যমে নিজের এক্স হ্যান্ডেলে জানিয়েছেন আরটিআই কর্মী অজয় বাসুদেব বোস। যদিও রাষ্ট্রপতি ভবনের উত্তরের পরে এ-বিষয়ে বাড়ছে জল্পনা। এখানেই থেমে না থেকে অজয় বোস নিজের দ্বিতীয় আরটিআই করেন। অজয় বোস জানতে চান জগদীপ ধনকড়কে (Jagdeep Dhankhar) রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল নাকি তিনি ভারতের মাননীয় রাষ্ট্রপতির সাথে দেখা না করেই পদত্যাগ করেছিলেন বা মোদি সরকার তাঁকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করেছিল? তার উত্তরে বলা হয়েছে যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক ২৭/৫/২০২৫ তারিখের গেজেটের মাধ্যমে পদত্যাগের বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে দেওয়া জবাবে জটিলতা রয়েছে বলে বলে জানিয়েছেন আরটিআই কর্মী অজয় বোস। বিগত এক মাস যাবৎ ধনকড় কোথায় আছেন তা স্পষ্ট নয়। উপরাষ্ট্রপতির বাংলো এখনও ছাড়েননি তিনি। নিয়মমতো পদত্যাগের পরে একমাস পর্যন্ত উপরাষ্ট্রপতি ভবনে থাকা যায়। তারপরে দিল্লিতেই আলাদা ভবনের ব্যবস্থা করে কেন্দ্র। কেন্দ্রের তরফে জানা গেছে, দিল্লির ৩৪ এপিজে আবদুল কালাম রোডে ৮ টাইপ বাংলো ইতিমধ্যেই ধনকড়ের জন্য বাছা হয়েছে। এরইমধ্যে আগামী ৯ সেপ্টেম্বর নতুন উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন। তার উপরে এই ইস্যুকে হাতিয়ার করে ময়দানে নেমেছেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা-সহ বিরোধীদের অনেকে।
আরও পড়ুন-নাসায় বাঙালি বিজ্ঞানীর সাফল্যে ‘নর্থস্টার’ স্বীকৃতি, জলের রং নির্ণয়ের যন্ত্র আবিষ্কার