প্রতিবেদন: রেল ব্যবস্থাকে ভেন্টিলেশনে পাঠিয়ে দিয়েছে কেন্দ্রের মোদি সরকার। দুর্ঘটনা লেগেই রয়েছে, চূড়ান্ত অব্যবস্থা, যাত্রী নিরাপত্তার বালাই নেই। তার উপর সম্প্রতি এক আরটিআই রিপোর্টে সামনে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। বছরে ১ হাজার ২৪০টি দুর্নীতি হয়েছে রেলে। প্রতিদিন গড়ে অন্তত তিনটি দুর্নীতির ঘটনা ঘটেছে ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত। লক্ষণীয়, সোমবারই রেলের অনিয়ম, দুর্নীতি এবং যাত্রী সুরক্ষায় ব্যর্থতা নিয়ে কেন্দ্রকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেছিলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সুস্মিতা দেব। ব্যর্থতা নৈতিক দায়িত্ব স্বীকার করে অবিলম্বে রেলমন্ত্রীর পদত্যাগ কিংবা অপসারণের দাবিও তোলেন তিনি।
বিগত বছরে রেলের শুধু তিনটি জোনেই দুর্নীতি এবং ঘুষ সংক্রান্ত অভিযোগের পাহাড় জমা হয়েছে। যা নিয়ে দিল্লির রেলভবনের অন্দরেই উঠছে প্রশ্ন। তিনটি জোনেই যদি এই পরিমাণ ঘোটালা হয়, তাহলে সামগ্রিকভাবে দুর্নীতির সংখ্যা কোথায় পৌঁছবে!
আরও পড়ুন-কেন্দ্রের নয়া শিক্ষানীতি জোর করে চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে রাজ্যগুলির ঘাড়ে
মোদি সরকার ক্ষমতায় আসার পর রেল বাজেটকে প্রত্যাখ্যান করেছে। জাত হলে সুনির্দিষ্ট কোনও পরিকল্পনা নেই উন্নয়নের। যাত্রী সুরক্ষা ও নিরাপত্তা শিকেয়। এই পরিস্থিতিতে দুর্ঘটনার ঘনঘটা। রেলমন্ত্রীর পদত্যাগ পর্যন্ত চাওয়া হয়েছে। তারপরও নির্লিপ্ত রেলমন্ত্রক। একটার পর একটা ঘটনা ঘটে চলেছে, সঠিক তদন্ত পর্যন্ত হচ্ছে না। এই প্রেক্ষিতে দুর্নীতি আর ঘুষেই মজেছেন রেলের কর্মী-আধিকারিকদের একাংশ। অন্তত আরটিআই রিপোর্টে এমনটাই প্রকট হয়েছে। মধ্যপ্রদেশের বাসিন্দা জনৈক চন্দ্রশেখর গৌড় একটি আরটিআই করেন। তার জবাবে রেলের উদ্বেগজনক ছবি সামনে এসে যায়।
২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত নর্দার্ন রেলওয়ে, সেন্ট্রাল রেলওয়ে এবং ওয়েস্টার্ন রেলওয়ে, এই তিনটি জোনের মধ্যে দুর্নীতি এবং ঘুষ সংক্রান্ত অভিযোগ সামনে আসে। সবথেকে বেশি অভিযোগ এসেছে সেন্ট্রাল রেলওয়ের বিরুদ্ধে। এক বছরের সময়সীমায় মধ্য রেলে দুর্নীতি এবং ঘুষ সংক্রান্ত মোট ৮১৯টি অভিযোগ জমা পড়েছে। এরপরেই রয়েছে ওয়েস্টার্ন রেলওয়ে। সেখানে অভিযোগের সংখ্যা মোট ৩২০টি। নর্দার্ন রেলে মোট ১০১টি অভিযোগ হয়েছে।