প্রতিবেদন : বিদ্রোহে, বিক্ষোভে উত্তাল গেরুয়া শিবির। বেসামাল বিজেপি। এবারে বিদ্রোহী তালিকায় নাম লেখালেন রাষ্ট্রপতি মনোনীত রাজ্যসভার সাংসদ রূপা গঙ্গোপাধ্যায়। কলকাতা পুরনির্বাচনের মুখে তিনি এমনভাবে ছুঁড়লেন বাক্যবোমা, যা ফেটে গিয়ে চুরমার করে দিল সংগঠনের অভ্যন্তরে প্রায় তলানিতে এসে ঠেকা ন্যূনতম বিশ্বাসের ভিতটুকুও। দলের বিদায়ী কাউন্সিলর তিস্তা বিশ্বাসের মৃত্যুকে ঘিরে অস্বস্তিকর প্রশ্ন তুলে কার্যত দলীয় নেতৃত্বের দিকেই আঙুল তুললেন রূপা। তাঁর বিশ্বাস, এটি মোটেই স্বাভাবিক দুর্ঘটনা নয়। তাঁকে পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে। ফেসবুক পোস্টে স্পষ্টভাবেই একথা জানিয়েছেন রূপা গঙ্গোপাধ্যায়। এর আগে মঙ্গলবার নির্বাচন নিয়ে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের ভার্চুয়াল বৈঠকেও তীব্র বিরক্তি প্রকাশ করে লিঙ্ক কেটে দিয়েছিলেন তিনি। রাগত স্বরে তাঁর মন্তব্য, ‘এসব ভাটের বৈঠকে আমাকে ডাকেন কেন?’
আরও পড়ুন :ওমিক্রনের ধাক্কায় স্থগিত আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা, মুম্বই বিমানবন্দরে লাগু পাঁচ নিয়ম
মাত্র কিছুদিন আগে পূর্ব মেদিনীপুরে এক পথদুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল ৮৬ নম্বর ওয়ার্ডে বিজেপির বিদায়ী কাউন্সিলর তথা কো-অর্ডিনেটর তিস্তা বিশ্বাসের। তাঁর স্বামী গৌরবকে ওই ওয়ার্ডে দল প্রার্থী না করায় প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন রূপা। এবারে কোনও রাখঢাক না করেই নিজের ফেসবুকে লিখেছেন, ‘তিস্তার মৃত্যু যে নিছক দুর্ঘটনা নয়, তা বেশ বুঝতে পারছি। এটি আসলে খুন। সীমিত সামর্থ নিয়ে আমি গৌরবের পাশে থাকব।’ রূপা বুঝিয়ে দিয়েছেন, দলের পুরনো কর্মী গৌরব নির্দল হিসেবে ঐ ওয়ার্ডে লড়াই করলে তাঁর সমর্থন থাকবে গৌরবের প্রতিই। লক্ষণীয় গৌরবও তাঁর মেয়ের কথার সূত্র ধরে অভিযোগ করেছেন, দুর্ঘটনার আগে একটা বাইক ফলো করছিল তাঁদের। গোটা পরিবারটাকে শেষ করে দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল। স্বাভাবিকভাবেই পুরভোটের মুখে বিজেপির ভেতরে-বাইরে এখন গভীর অবিশ্বাসের আবহ। রূপার অভিযোগকে ঘিরে তোলপাড় গেরুয়া শিবির।