প্রতিবেদন : ২০১৪ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংকে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে নিয়মিত কটাক্ষ করতেন গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি আশ্বাস দিয়েছিলেন, প্রধানমন্ত্রী হলে দেশের আর্থিক পুনর্গঠন করবেন। কিন্তু আট বছরে দেশের আর্থিক উন্নয়ন তো দূরের কথা, বরং আর্থিক দুরবস্থা আরও বেড়েছে। যার প্রতিফলন ঘটছে ডলারের তুলনায় টাকার দামে (Rupee Tumbles)। টাকার (Rupee Tumbles) দাম পড়তে পড়তে শনিবার প্রতি ডলারের সাপেক্ষে ৭৯.৭২ টাকা হয়েছে। একদিকে যখন টাকার দাম ক্রমশই পড়ছে তখন বাড়ছে দেশের বাণিজ্যিক ঘাটতির পরিমাণ। যা নিশ্চিতভাবেই দেশের বেহাল আর্থিক পরিস্থিতিকে সামনে এনেছে। এই পরিসংখ্যানকে সামনে রেখেই বিরোধীরা মোদিকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেছে।
আরও পড়ুন: সংবাদমাধ্যমকে লভ্যাংশ দিয়েই ব্যবসা করতে হবে গুগল, ফেসবুককে
২০১৩ সালে মোদি বলতেন, ইউপিএ সরকার না টাকা, কে আগে মুখ থুবড়ে পড়বে তার প্রতিযোগিতা চলছে। এদিন মোদির ওই কটাক্ষকে তাঁর দিকে ফিরিয়ে দিয়েছেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। তিনি বলেছেন, ডলারের বিনিময়ে টাকার দাম যখন ৬০ টাকা ছিল তখন বিজেপি বলত টাকা আইসিসিইউতে রয়েছে। চরম সংকটে দেশের অর্থনীতি। কিন্তু ডলারের দাম ৭০ পার হতেই বিজেপি বলছে দেশ আত্মনির্ভর হয়েছে। দেশের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম বলেছেন, ২০১৩ সালের ডলারের সাপেক্ষে টাকার দাম ৬৯ টাকা হয়েছিল এটা ঠিক। কিন্তু এক মাসের মধ্যেই তা কমিয়ে ৫৯ টাকায় এনেছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী মোদি কোনও কাজই করতে পারছেন না। সে কারণেই প্রতিদিনই পড়ছে টাকার দাম। বিরোধীদের এই সমালোচনার কোনও উত্তর মেলেনি বিজেপির কাছ থেকে। তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এভাবে টাকার দাম পড়ার পেছনে কেন্দ্রীয় সরকারের ব্যর্থতাই দায়ী।