প্রতিবেদন : একদিন আগেই আফগানিস্তানে তালিবান সরকারের মন্ত্রিসভার সদস্যদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। আফগানিস্তানের পরিস্থিতি এই মুহূর্তে যথেষ্ট অগ্নিগর্ভ। আফগানিস্তানে তালিবান সরকার ঘোষণা হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই গোটা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে দিল্লি এসে পৌঁছলেন রাশিয়ার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা নিকোলাই পাত্রশেভ এবং আমেরিকার গোয়েন্দা প্রধান উইলিয়াম বার্নস। এই দুই বিদেশি অতিথি এদিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা দোভালের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক করেন। রাশিয়া ও আমেরিকার মতো দুই শক্তিধর দেশের ভারতের সঙ্গে আফগানিস্তান নিয়ে আলোচনাকে কূটনৈতিক মহলও যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে দেখছে। এই আলোচনা থেকেই বোঝা যাচ্ছে, রাশিয়া ও আমেরিকা নয়াদিল্লিকে কতটা গুরুত্ব দিচ্ছে।
আরও পড়ুন :দেশে গণতন্ত্রের স্থান নেই জানালেন তালিবান প্রধান
৩০ অগাস্ট রাতে আফগানিস্তান থেকে সমস্ত সেনা তুলে নিয়েছে আমেরিকা। এই মুহূর্তে আফগানিস্তানের পরিস্থিতির উপর সেভাবে তাদের কোনও নজরদারি নেই। তাই আফগানিস্তানের সর্বশেষ পরিস্থিতি সম্পর্কে দোভালের কাছে জানতে চান বার্নস, এমনটাই সূত্রের খবর। জানা গিয়েছে, ওই বৈঠকে আফগানিস্তানে তালিবানের সরকার গঠন ও উদ্ধারকাজ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন বার্নস। আফগানিস্তানের সর্বশেষ পরিস্থিতির ব্যাপারে ভারতীয় গোয়েন্দাদের রিপোর্ট আমেরিকাকে জানানোর জন্য অনুরোধও করেন তিনি। একই সঙ্গে বার্নস এদিন দোভালকে বেশকিছু আফগান নাগরিককে ভারতে আশ্রয় দেওয়ার অনুরোধও করেছেন। বার্নসের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল ভারতে এসেছে। ওই প্রতিনিধি দলটি ভারত থেকে পাকিস্তান যাবে। যদিও সরকারিভাবে দোভাল ও বার্নসের এই বৈঠকের বিষয়ে কোনও কিছু জানানো হয়নি।
আরও পড়ুন :ত্রিপল চুরি মামলায় শুভেন্দু ঘনিষ্ঠে বিরুদ্ধে হুলিয়া জারি আদালতের
সিআইএ প্রধানের সঙ্গে বৈঠকের পাশাপাশি রাশিয়ার নিরাপত্তা উপদেষ্টা নিকোলাইয়ের সঙ্গেও এদিন দিল্লিতে বৈঠক করেছেন দোভাল। সেই বৈঠকে আফগানিস্তান ছাড়া চিন এবং পাকিস্তানের সাম্প্রতিক ভূমিকা নিয়েও আলোচনা হয়। রাশিয়ার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা নিকোলাই দীর্ঘক্ষণ দোভালের কথা বলেন। এই বৈঠকেও আফগানিস্তানের সর্বশেষ পরিস্থিতি ও তালিবান সরকার গঠন নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে খবর। রাশিয়া এখনও আফগানিস্তানে নিজেদের দূতাবাস বন্ধ করেনি। তবে, তালিবানের নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যদের নাম নিয়ে তারা যে আদৌ খুশি নয়, এদিনের বৈঠকে নিকোলাই সে বিষয়টিও সামনে এনেছেন বলে সূত্রের খবর। ভারত ও রাশিয়া যৌথভাবে আফগানিস্তানের বিষয়ে পদক্ষেপ করতে পারে, এমনটাও জানা গিয়েছে।