আজ, বুধবার সকালে কলকাতায় কালীঘাটে (Kalighat) পুজো দিতে গিয়েছিলেন সাধ্বী জ্যোতি (Sadhvi Jyoti)। সেখানে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করে বলেন, ‘প্রথমে ওরা বলেছিল, ৫ জন দেখা করবে। তারপর বলল ১০ জন দেখা করবে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যাবেন বলেছিলেন। আমি রাজি হয়েছিলাম দেখা করতে। তারপর ওরা বলল, প্রতিনিধি নয়, জনতার সঙ্গে দেখা করতে হবে।’
আরও পড়ুন-এবার ভাষ্যকারের ভূমিকায় সানিয়া
তিনি বলেন, ‘আমার খুব কষ্ট হয়, আমি নিজের কাজ ছেড়ে কথা বলতে চেয়েছিলাম বাংলার মানুষের ভালোর কথা ভেবে। বাংলার মানুষের কথা ভাবা নয়, এদের মূল উদ্দেশ্য ছিল ধরনা দেওয়া। আমরা কারও টাকা বন্ধ করিনি। যদি টাকা বন্ধ করাই লক্ষ্য হত, তাহলে অন্যান্য প্রকল্পের সব টাকা বন্ধ করে দেওয়া হত।’
আরও পড়ুন-স্বামী পরিত্যক্তা বিচারাধীন কত জানতে চাইল কোর্ট
প্রসঙ্গত, গত বছরের অক্টোবর মাসে বাংলার বকেয়া টাকার দাবিতে দিল্লি গিয়ে ধর্ণা দিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধি দল। তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের নেতৃত্বে পঞ্চায়েত মন্ত্রকের দফতরে গিয়ে প্রতিনিধিরা ধর্ণা দেয়। তৃণমূল কংগ্রেসের অভিযোগ ছিল, দফতরে গিয়ে অনেকক্ষণ অপেক্ষার পরেও মন্ত্রী তাঁদের সঙ্গে দেখা করেননি। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয়, কলকাতায় এসে পঞ্চায়েত মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতি বলেন, সেদিন আড়াই ঘণ্টা ধরে অপেক্ষা করলেও তাঁর সঙ্গে দেখা করেননি তৃণমূলের প্রতিনিধিরা। এই নিয়ে সরব তৃণমূল কংগ্রেস প্রতিনিধিরা।
আরও পড়ুন-মিলুটিনোভিচে মুগ্ধ সন্দেশরা
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সাধ্বী জ্যোতির এহেন আচরণে বাংলার মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা বলেছেন, ‘সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতি মিথ্যা কথা বলছেন। আমিও সেদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাধ্বীজির অফিসে গিয়েছিলাম। সেদিন চার ঘন্টা ধরে ওনার নাটক দেখেছি। পারলে আমাদের সামনাসামনি বসে যা বলতে চাইছেন সেগুলো উনি বলুক।’