ন্যাশনাল টাস্ক ফোর্সের বৈঠক, শুরু হল চিকিৎসকদের নিরাপত্তার রূপরেখা

Must read

প্রতিবেদন : আরজি কর-কাণ্ডের পরিপ্রেক্ষিতে কীভাবে গোটা দেশের সরকারি চিকিৎসক ও চিকিত্সাকর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়, তার রূপরেখা তৈরির কাজ শুরু করল ন্যাশনাল টাস্ক ফোর্স (National Task Force)৷ সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে গঠিত ১৪ সদস্যের টাস্ক ফোর্স মঙ্গলবার দিল্লিতে এক বৈঠকে মিলিত হয়ে গোটা পরিস্থিতির পর্যালোচনা করেছে৷ এই বৈঠকে পৌরোহিত্য করেন কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেট সচিব৷ উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব ও স্বাস্থ্যসচিব সহ টাস্ক ফোর্সের সব সদস্য৷ স্থির হয়েছে, আজ, বুধবার দেশের সব রাজ্যের মুখ্যসচিব ও রাজ্য পুলিশের ডিজিদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সিং বৈঠক করবে টাস্ক ফোর্স৷ এর পরেই স্থির হবে আশু পদক্ষেপ৷ উল্লেখ্য, শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় এই টাস্ক ফোর্স গঠন করার সময়ে জানিয়েছিলেন, গোটা দেশের সরকারি চিকিত্সক ও চিকিত্সাকর্মীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার জন্য রূপরেখা তৈরি করবে টাস্ক ফোর্স৷ তিন সপ্তাহের মধ্যে তাদের রিপোর্ট শীর্ষ আদালতে জমা দেবে টাস্ক ফোর্স (National Task Force), দু’মাসের মধ্যে দিতে হবে চূড়ান্ত রিপোর্ট, নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রধান বিচারপতি৷ এই আদেশ মেনেই তাঁরা কাজ করবেন বলে মঙ্গলবার দাবি জানানো হয়েছে ন্যাশনাল টাস্ক ফোর্স সূত্রে৷ তাত্পর্যপূর্ণ হল, টাস্ক ফোর্সের সদস্যরা এদিনের বৈঠকে কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেট সচিবকে জানিয়েছেন যে তাঁরা ব্যক্তিগতভাবে ৩০০-৪০০ পরামর্শ পেয়েছেন কীভাবে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে কর্মরত চিকিত্সকদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা যাবে, তার সম্ভাব্য রূপরেখার বিষয়ে৷ এই তথ্য জানার পরেই ক্যাবিনেট সচিবের নির্দেশে একটি আলাদা পোর্টাল খোলার কথা জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক৷ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের ওয়েবসাইটে গেলেই সেখানে দেওয়া একটি লিঙ্কে ক্লিক করে প্রবেশ করা যাবে এই পোর্টালে৷ এখানেই নিজেদের পরামর্শ লিপিবদ্ধ করতে পারবেন দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বসবাসকারী নাগরিকরা৷ এই সব পরামর্শ খতিয়ে দেখে নিজেদের সুপারিশ তৈরি করবে ন্যাশনাল টাস্ক ফোর্স, দাবি জানানো হয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে৷ সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে কোন পদ্ধতিতে কাজ করবে টাস্ক ফোর্স সেই বিষয়ে আভাস দিতে গিয়ে মঙ্গলবার টাস্ক ফোর্সের সদস্য ডাঃ সৌমিত্র রাওয়াত বলেন, ‘‘প্রথমেই আমরা চিকিত্সক ও চিকিত্সা কর্মীদের বিরুদ্ধে হওয়া সম্ভাব্য হিংসা প্রতিরোধের দিকটি বিবেচনা করব৷ এর পরের ধাপে আমাদের লক্ষ্য থাকবে সরকারি পরিকাঠামোতে কাজ করা ডাক্তার, নার্স এবং সব প্যারামেডিক্যাল কর্মীদের জন্য একটি মর্যাদাপূর্ণ, নিরাপদ কাজের পরিবেশ সংক্রান্ত জাতীয় প্রোটোকল তৈরি করা৷’

আরও পড়ুন- বিজেপি-নীতীশের বিহারে মধ্যযুগীয় বর্বরতা, যুবকের গোপনাঙ্গে লঙ্কার গুঁড়ো ঢুকিয়ে নির্মম অত্যাচার

Latest article