পঞ্চায়েত ভোটের আগে একপ্রকার মাটি শক্ত করতে জোরকদমে ময়দানে নেমে পড়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। আজ রবিবার জলপাইগুড়ি মালবাজারে চা শ্রমিকদের কেন্দ্রীয় সমাবেশে বক্তব্য রাখছেন সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের সাধরণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সভায় অভিষেক ছাড়া রয়েছেন ঋতব্রত বন্দোপাধ্যায়, মলয় ঘটক, উদয়ন গুহ, সাবিনা ইয়াসমিন, গৌতম দেব সহ তৃণমূলের বহু নেতা-মন্ত্রী। এদিন চা শ্রমিকদের পাশে থাকার বার্তা ছাড়াও বিরোধীদের তুলোধনা করলেন অভিষেক।
আরও পড়ুন-‘শেষ রক্তবিন্দু পর্যন্ত চা-শ্রমিকদের দাবি দাওয়া নিয়ে আমরা সোচ্চার হব’ বার্তা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের
এদিন মঞ্চ থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন বন্ধ থাকা বীরপাড়া, লঙ্কাপাড়া, তুলসিপাড়া সহ ৭টি চা বাগান কেন্দ্র সরকার অধিগ্রহণ করবে। নতুন করে খোলার ব্যবস্থা করবে। কিন্তু, বলেছিলেন নরেন্দ্র মোদী আর বাস্তবায়িত করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপি যা বলে করে না। তৃণমূল কংগ্রেস যা বলে তা করে।’
আরও পড়ুন-দেশের সেরা বাংলা, পড়ুয়াদের স্বীকৃতি দিয়ে টুইট গর্বিত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের
তিনি বলেন, ‘অনেক সময় চা মালিকদের বিরুদ্ধে চা শ্রমিকদের পিএফ, গ্যাচুইটি না দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। পিএফ, গ্যাচুইটি কেন্দ্রের বিষয়। কাল থেকেই পিএফ-গ্যাচুইটির দাবিতে বড় আন্দোলন শুরু হবে। এই টাকা প্রতিটা শ্রমিকের অ্য়াকাউন্টে বিজেপি সরকারকে পাঠাতে হবে। আমরা এর জন্য তিন মাসের সময় দিচ্ছি। আগামী তিন মাসের মধ্যে পে স্লিপ দেওয়ার জন্য আমি শ্রমমন্ত্রীর কাছেও অনুরোধ করেছি। তারপরেও মালিকরা টাকা দেবেন না তাঁদের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ জানাতে হবে।’
অভিষেক আরও বলেন, কাল থেকেই পিএফ-গ্যাচুইটির দাবিতে বড় আন্দোলন শুরু হবে। প্রতিটা চা বাগানে আন্দোলন হবে। তার পরে কাজ না হলে জেলার পিএফ অফিস ঘেরাও করবেন। ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে যদি কাজ না হয় তাহলে ১ জানুয়ারি থেকে উত্তরঙ্গে বিজেপির সাংসদের বাড়ি ঘেরাও করবেন। কলকাতা থেকে আমি আসব। দরকারে দিল্লি অবধি আমরা যাব।
তিনি জানান, বিজেপি ভাষণ দেয়, মমতা বন্দোপাধ্যায় রেশন দেয়। জন বার্লা বাড়ি বানিয়েছে, মল বানিয়েছে। আপনাদের দিয়েছে হাঁসের ডিম। তৃণমূল কংগ্রেস হাই কোয়ালিটির ডিভিডি। চালালে শুনতেও পাবেন, দেখতেও পাবেন। বিজেপি হচ্ছে ভাঙা অডিও ক্যাসেট। চোখে দেখতে পাবেন না। শুনতে পাবেন।