সইফের ১৫ হাজার কোটির সম্পত্তি হাতছাড়া?

আর এই সম্পত্তির আর্থিক মূল্য তাজ্জব করে দেওয়ার মতোই। জানা গিয়েছে, প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকার পারিবারিক সম্পদ হারাতে পারেন সইফরা।

Must read

প্রতিবেদন: মুম্বইয়ের বহুতলে নিজের বাড়ির ভিতরেই দুষ্কৃতীর ছুরির হামলায় রক্তাক্ত হয়েছিলেন বলিউড তারকা সইফ আলি খান। সেই বিতর্কের রেশ কাটতে না কাটতেই নতুন চর্চা শুরু সইফের পরিবারকে ঘিরে। শোনা যাচ্ছে, তাঁর ঠাকুরমার সূত্রে পাওয়া বিপুল পারিবারিক সম্পত্তি চলে যেতে পারে কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে। আর এই সম্পত্তির আর্থিক মূল্য তাজ্জব করে দেওয়ার মতোই। জানা গিয়েছে, প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকার পারিবারিক সম্পদ হারাতে পারেন সইফরা।

আরও পড়ুন-সুভাষচন্দ্রের স্মৃতি ধরে রেখেছে দুই গ্রাম, তমলুকে নেতাজির সভার চেয়ার আজও পূজিত হয়

কী কারণে সইফের পরিবারের সম্পত্তি চলে যেতে পারে কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে? এর মূলে রয়েছে একটি বিশেষ আইনের ক্ষমতা। তা হল শত্রু সম্পত্তি আইন, ১৯৬৮। এই আইনের জোরেই সইফের পরিবারের ১৫ হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি নিয়ে নিতে পারে কেন্দ্র। মধ্যপ্রদেশের ভোপালে সইফের পরিবারের যে বিশাল সম্পত্তি রয়েছে, তা নিয়ে বিতর্ক বহু পুরনো। ২০১৫ সালে এই সম্পত্তি অধিগ্রহণের সিদ্ধান্তে স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়। তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্ট সম্প্রতি সেই স্থগিতাদেশ তুলে নিয়েছে। বিচারপতি বিবেক আগরওয়াল তাঁর রায়ে বলেন, ২০১৭ সালের সংশোধিত শত্রু সম্পত্তি আইন বা এনিমি প্রপার্টি অ্যাক্টের অধীনে ৩০ দিনের মধ্যে আবেদন জানানো যেতে পারে। আদালতের স্থগিতাদেশ উঠে যাওয়ায় সইফ আলি খানের পরিবারের যে সম্পত্তিগুলি সরকারের হাতে চলে যেতে পারে, তার মধ্যে রয়েছে ফ্ল্যাগ স্টাফ হাউস। এখানে সইফের শৈশব কেটেছিল। এছাড়া নুর উস সাবাহ প্যালেস, দার-আস-সালাম, হাবিবি বাংলো, আহমেদাবাদ প্যালেস ইত্যাদি হাতছাড়া হতে পারে।
শত্রু সম্পত্তি আইনে বলা হয়েছে, দেশভাগের পর যাঁরা পাকিস্তান চলে গিয়েছিলেন, তাঁদের সম্পত্তির উপর অধিকার দাবি করতে পারে কেন্দ্রীয় সরকার। প্রশ্ন হল, সইফরা ভারতীয় হওয়া সত্ত্বেও তাহলে তাঁদের সম্পত্তি কীভাবে শত্রু সম্পত্তি আইনের আওতায় পড়ছে? এর সূত্র লুকিয়ে আছে সইফের ঠাকুরমার পরিবারের বিন্যাসে। ভোপালের শেষ নবাব ছিলেন হামিদুল্লাহ খান। তাঁর দুই মেয়ের মধ্যে বড় মেয়ে আবিদা সুলতানা ১৯৫০ সালে পাকিস্তান চলে যান। ছোট মেয়ে সাজিদা সুলতানা ভারতেই থেকে যান এবং নবাব ইফতিখার আলি খান পতৌদিকে বিয়ে করেন। এই সাজিদার নাতিই সইফ আলি খান। তিনিও নবাবের সম্পত্তির অংশীদার। কিন্তু আবিদা সুলতানার পাকিস্তান চলে যাওয়াই সমস্যা তৈরি করেছে। কারণ এরপরেই দুই বোনের যৌথ পারিবারিক সম্পত্তি শত্রু সম্পত্তি বলে দাবি করা হয়। ২০১৯ সালে আদালত সাজিদা সুলতানাকে (সইফের ঠাকুরমা) বৈধ উত্তরসূরির স্বীকৃতি দিলেও সম্প্রতি মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্ট সম্পত্তির উপর থেকে স্থগিতাদেশ তুলে নেওয়ায় নতুন সমস্যা দেখা দিয়েছে।

Latest article