প্রতিবেদন: এই হল বামরাজ্য। যে সিপিএম গায়ের জ্বালা মেটাতে কথায় কথায় বাংলা নিয়ে মিথ্যাচার করে, ভুল খুঁজে বেড়ায়, সেই সিপিএম শাসিত কেরলে ৬ বছর বেতন না পেয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে বাধ্য হলেন এক স্কুলের শিক্ষিকা। অত্যন্ত হৃদয়বিদায়ক ঘটনার সাক্ষী হল কোঝিকোড়ের কোন্ডেনচেরির একটি স্কুলে। সরকারপোষিত স্কুলটির পরিচালনার দায়িত্বে ক্যাথলিক ডায়সিস অফ থামারাসসেরি। বুধবার দুপুরে ২৯ বছর বয়সের শিক্ষিকা অ্যালেনা বেন্নির দেহ উদ্ধার করা হয় তাঁর নিজের বাড়ি থেকেই। এই ঘটনায় নিন্দার ঝড় উঠেছে রাজ্যজুড়ে। অভিযোগের আঙুল উঠেছে সিপিএম সরকারের শিক্ষা দফতরের গাফিলতি এবং অপদার্থতার দিকে। প্রশ্ন উঠেছে, একটি সরকার পোষিত স্কুলে শিক্ষক-শিক্ষিকারা নিয়মিত বেতন পাচ্ছেন কিনা, তা দেখার দায়িত্ব কার? সে রাজ্যের সরকারের নয় কি? তা হলে তারা নজরদারি চালায়নি কেন? এটা কি সরকারি গাফিলতি নয়?
আরও পড়ুন-কেরলবাসীর সমস্যা জানবে তৃণমূল আলোচনা সংগঠনের বিস্তার নিয়েও
প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জানিয়েছে, একই সংস্থার অন্য একটি স্কুলে ৫ বছর কাজ করেছেন ওই শিক্ষিকা। গত বছরের জুনে অ্যালেনা চলে আসেন সেন্ট জোসেফ লোয়ার প্রাইমারি স্কুলে। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয়, দুটি স্কুলেই নিয়মিত ক্লাস নিলেও টানা ৬ বছর কোনও বেতনই দেওয়া হয়নি তাঁকে। বারবার স্কুল কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলেও কোনও লাভ হয়নি। বেতন না দেওয়ার কোনও যথাযথ কারণও দেখানো হয়নি। অভিযোগ করেছেন মৃতার পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু এর কোনও সদুত্তর দিতে পারেনি কেরলের বাম সরকার। গ্রেফতারও করা হয়নি কাউকে। আইওয়াশের জন্য শুধুমাত্র ডিজির রিপোর্ট তলব করেছেন শিক্ষামন্ত্রী।