‘অন্য বিয়ের’ কাহিনি!

ছোটবেলাতেই মা-বাবাকে হারিয়ে রিয়া বড় হয়েছেন মাসি-মেসোর কাছে। অন্যদিকে রাখী একান্নবর্তী পরিবারে বড় হন। দু’জনেই পেশায় নৃত্যশিল্পী।

Must read

ভালোবাসার অন্য রূপের সাক্ষী থাকল সুন্দরবনের (Sunderban) প্রত্যন্ত গ্রাম। বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার মন্দিরবাজার থানা এলাকার রিয়া সর্দার এবং কুলতলি ব্লকের বকুলতলার বাসিন্দা রাখী নস্কর। স্থানীয় একটি ক্লাবের সহযোগিতায় মঙ্গলবার মন্দিরে বিয়ে করেন এই দুই নারী। স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন জীবনের পথে চলতে গেলে ভালবাসাটাই আসল। কাকে ভালবাসছি, সেটা একেবারেই বড় বিষয় নয়।

আরও পড়ুন-মর্মান্তিক! যোগীরাজ্যে রেলস্টেশনে ভুল দিকে ট্রেন থেকে নেমে নিহত ৬

ছোটবেলাতেই মা-বাবাকে হারিয়ে রিয়া বড় হয়েছেন মাসি-মেসোর কাছে। অন্যদিকে রাখী একান্নবর্তী পরিবারে বড় হন। দু’জনেই পেশায় নৃত্যশিল্পী। ফোনে পরিচয় আর তারপর বন্ধুত্ব এবং প্রেমের পর দুই যুবতী একসাথে জীবনের বাকিটুকু কাটানোর সিদ্ধান্ত নেন। দু’জনে জানতেন, পথ সহজ হবে না এবং সবথেকে বড় বিষয় সামাজিক বাধা আসবে। এছাড়া কটাক্ষ ও কটূক্তি তো আছেই। তবু তাঁরা নিজেদের সিদ্ধান্তে অনড় থেকেছেন । অবশেষে মঙ্গলবার সবরকম বাধা দূরে রেখে সাতপাকে বাঁধা পড়লেন সুন্দরবনের দুই যুবতী।

আরও পড়ুন-রাস পূর্ণিমা উপলক্ষ্যে রাজ্যবাসীকে শুভেচ্ছা মুখ্যমন্ত্রীর

সুন্দরবন আগে কোনদিনই দুই মেয়ের সিঁদুরদান, সাতপাক দেখেনি। স্থানীয়রা জানান ওরা বিয়ের সিদ্ধান্ত নিলে শান্তি সঙ্ঘ মন্দিরে বিয়ে দেওয়া হয়েছে ওদের। ক্লাবের এক সদস্য জানান ক্লাবের ছেলেরা দু’জনকে সহায়তা করেছে। এর আগে এমন বিয়ে হয়নি। মোবাইলে দেখলেও বাস্তবে এই প্রথম যে তারা সমলিঙ্গের বিয়ে দেখছেন সেই কথা স্পষ্টই জানালেন।

বিয়ের পর রিয়া জানান, সম্পর্কের কথা তিনি বাড়িতে জানিয়েছিলেন। কিন্তু কেউ মানেনি। তিনিও ঠিক করেন, যাঁকে ভালবাসেন, তাঁকে ছাড়বেন না। তাই বাড়ি ছেড়ে রাখীর বাড়িতে গিয়ে থাকতে শুরু করেন তবে রাখীর পরিবার তাঁদের সম্পর্ক মেনে নেয়। অন্যদিকে রাখী জানিয়েছেন তাদের সম্পর্ক ২ বছরের। ফোনে পরিচয় হয়। অনেকেই সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন তোলেন কিন্তু তারা নিজেরাই একসাথে থাকার সিদ্ধান্ত নেন।

 

Latest article