সংবাদদাতা, হুগলি : পাঁচ বছর প্রধান থাকা সত্ত্বেও এখনও শেষ করতে পারেননি নিজের নির্মীয়মাণ একতলা বাড়ির কাজ। দরজা-জানালা বসাতে না পারায় চটের পর্দা দিয়ে কাজ চালাচ্ছেন। নিজের কোনও জমিজমা বা পুকুর কিছুই নেই। শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষা, নিয়ম করে প্রতিদিন ভোর তিনটেয় উঠে চলে যান অন্যের পুকুরে মাছ ধরতে। দীর্ঘদিন ধরেই পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে অন্যের পুকুর ভাগে নিয়ে মাছচাষ করাই পেশা সমীরকুমার দাসের (Samir Kumar Das)। তিনিই হুগলির পুরশুড়া ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান। থাকেন জঙ্গলপাড়া গ্রামে। মাছ ধরার কাজ না করলে অর্থের অভাবে সংসার চলবে না। তাই ভোর থেকে বেলা পর্যন্ত কঠোর পরিশ্রমের পর নিয়মমাফিক পঞ্চায়েত অফিসে গিয়ে নিজের প্রশাসনিক কাজকর্ম সারেন তিনি। এভাবেই অত্যন্ত সাদামাঠা জীবনযাপন করছেন তৃণমূল কংগ্রেসের পঞ্চায়েত প্রধান সমীরবাবু। তিনি (Samir Kumar Das) জানান, ‘‘প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর কাজের চাপ অনেক বেড়েছে। তাই পুকুরে মাছ ফেলা, পুকুর পরিষ্কার করা, সেই মাছ বাজারে পাঠানো সব কিছু সামাল দিতে অনেক বেশি পরিশ্রম করতে হচ্ছে। তবুও মানুষের কাজ করতে পেরে ভাল লাগছে।’’ গ্রামবাসীরা জানান, সমীরবাবুর হাত ধরে রাস্তাঘাট, আলো ইত্যাদি ক্ষেত্রে প্রচুর উন্নয়ন হয়েছে। নদী থেকে জল তুলে কৃষিকাজে ব্যবহারের ব্যবস্থা হয়েছে। ফলে এলাকার চাষিদের মুখে হাসি ফুটেছে।
আরও পড়ুন- কালবৈশাখীর মতো ঝড় জেলায় শিলাবৃষ্টি