মৌসুমি দাস পাত্র, নদীয়া: বাজারে দ্রব্যমূল্য যখন চড়া, তখনও এক টাকায় শিঙাড়া বিক্রি করছেন গোপালচন্দ্র রায়। শুনে বিশ্বাস না করলেও কৃষ্ণগঞ্জের শিবনিবাসের গোপালচন্দ্রের দোকানে গেলেই প্রত্যয় হবে। একটা সময় শিঙাড়া ২০ পয়সায় পাওয়া যেত। পরে জিনিসপত্রের দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে একটু একটু করে দাম বেড়েছে। ৪০ পয়সা, ৫০ পয়সা হয়ে এখন দাম এক টাকা হয়েছে। সেই এক টাকা এখনও রয়ে গিয়েছে। গত ৫০ বছর ধরে গোপালবাবু এই শিঙাড়া বিক্রি করে আসছেন এশিয়ার দ্বিতীয় বড় শিবলিঙ্গ-থাকা শিবনিবাস মন্দিরের কাছেই।
আরও পড়ুন-নজরে কৃষকবন্ধু প্রকল্প ও শস্যবিমা যোজনা প্রকল্প, কৃষকদের জন্য চালু হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর
মন্দিরচত্বরে আমিষ খাবার বিক্রির প্রচলন নেই। তাই নিরামিষভাবে তৈরি করা শিঙাড়াগুলো। সত্তরোর্ধ্ব মানুষটি গত ৫০ বছর এইভাবেই ব্যবসা করে আসছেন। দোকান খুললেই শিঙাড়ার জন্য লাইন পড়ে যায়। আট থেকে আশি— সবাই গোপালবাবুর এক টাকার শিঙাড়ার ভক্ত। ক্রেতারা জানিয়েছেন, এই শিঙাড়া খুবই সুস্বাদু। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নভাবে তৈরি হয়। লম্বা লাইন সামলাতে সামলাতে গোপালবাবু বললেন, যতদিন পারব ততদিন এক টাকাতে শিঙাড়া বেচব। একেবারে শুরুতে দু পয়সায় বিক্রি করতাম। পরে চার পয়সা। তারপর আট আনা থেকে এক টাকায় বিক্রি করি। আমার নিরামিষ শিঙাড়া মানুষ পছন্দ করে, খায়। বিক্রি বেশি লাভ কম হলেও পুষিয়ে যায়, তাই আর দাম বাড়াই না।