আগরতলা : বিজেপির ডবল ইঞ্জিন সরকারের উন্নয়নের নমুনা কী, তা হাড়ে হাড়ে বুঝছে ত্রিপুরাবাসী। সীমাহীন দুর্নীতি ও আর্থিক নয়ছয়ের জেরে রাজ্যের কোষাগারের বেহাল দশা। অবস্থা এমনই, গোটা দেশে যখন করোনা সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী, জানুয়ারির মাঝামাঝি থেকে স্বাস্থ্য পরিষেবায় বিপুল চাপ তৈরির সতর্কবার্তা দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা, তখন ত্রিপুরার অপদার্থ বিজেপি সরকার বন্ধ করে দিল বিশেষ ১০২ অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা। যে অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা কোভিড সুনামির সময় অত্যন্ত প্রয়োজনীয় সাধারণ মানুষের কাছে, তাতেই কোপ বসাল জনবিরোধী বিজেপি সরকার।
আরও পড়ুন-পাক সুপ্রিম কোর্টের প্রথম মহিলা বিচারপতি হতে পারেন আয়েশা মালিক
ন্যাশনাল হেলথ মিশনের অধীনে দু’বছর আগে ত্রিপুরায় বহু ব্যয় করে উদ্বোধন হয়েছিল পঞ্চাশটি লাইফ সাপোর্ট অ্যাম্বুল্যান্স। এগুলির পরিচিতি ছিল ১০২ নম্বর নামে। হঠাৎ করে শুক্রবার থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এই অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা। জানা গিয়েছে, ন্যাশনাল হেলথ মিশন থেকে যে সংস্থাকে বরাত দেওয়া হয়েছিল তাকেই পরিষেবা বন্ধের কথা বলে দিয়েছে সরকার। কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, সরকারে হাতে এই পরিষেবা চালিয়ে যাওয়ার মতো পর্যাপ্ত অর্থ নেই। আর তাই করোনা সংকটে স্বাস্থ্য কাঠামোর উপর চাপ পড়লেও বন্ধ থাকবে এই অ্যাম্বুল্যান্স।
পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তারা ত্রিপুরায় পরিষেবা দিতে তৈরি। কিন্তু রাজ্য সরকার অনুমতি না দিলে তাদের কিছু করণীয় নেই। জরুরি ১০২ অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা বন্ধের কারণে এখন ত্রিপুরায় গুরুতর অসুস্থ রোগীদের জীবন বিপদের মুখে। জরুরি ভিত্তিতে অ্যাম্বুল্যান্সগুলি কাজে লাগাত বিভিন্ন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন-সংক্রমণ লাগামছাড়া, বিশ্বজুড়ে এখনও অসচেতন বহু মানুষ
রেফারেল কেসের ক্ষেত্রে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে এই ১০২ অ্যাম্বুল্যান্স দিয়ে রাজ্যের প্রধান হাসপাতাল জিবি এবং আইজিএমে আনা হত। বিশেষ করে কোভিড রোগীদের ক্ষেত্রে এই পরিষেবা অত্যন্ত জরুরি। এছাড়া অনেক সময় মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটলেও ব্যবহার করা হত এই ধরনের অ্যাম্বুল্যান্স। খবর দেওয়া হলেই তারা এসে রোগীদের নিয়ে দ্রুত হাসপাতালে পৌঁছে যেত। শুক্রবার থেকে অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা বন্ধ হওয়ার কারণে বিভিন্ন জায়গায় রোগী রেফার করতে অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বিপদের মধ্যে রোগীরাও। এর পরেও সমস্যার গুরুত্ব সম্পর্কে উদাসীন ত্রিপুরার বিজেপি সরকার।