মণীশ কীর্তনিয়া: আগামী জুলাই মাসেই হবে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন (Presidential Election)। ওই মাসেই শেষ হচ্ছে বর্তমান রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের (President Ramnath Kovind) কার্যকালের মেয়াদ। নতুন রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে তৎপরতা শুরু হয়ে গিয়েছে জাতীয় স্তরে। দেশের নতুন রাষ্ট্রপতি হিসেবে বিজেপি কাকে তুলে ধরবে, আবার বিরোধীরাই বা কাকে সামনে আনবেন। রাজধানী দিল্লিসহ সব রাজ্যেই চলছে জল্পনা। হাই ভোল্টেজ রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের তৎপরতা শুরু হয়ে গিয়েছে রাজ্য বিধানসভার অন্দরমহলেও। এই নির্বাচনের (Presidential Election)ভোটার অর্থাৎ রাজ্যের বিধায়কদের ‘নমুনা স্বাক্ষর’ নেওয়া শুরু হয়েছে। আগামী ১৫ মের মধ্যে যা পাঠানো হবে নির্বাচন কমিশন ও সংসদে। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোট দেন বিধায়ক ও সাংসদরা। নিয়ম অনুযায়ী নিজের রাজ্যের বিধানসভাতেই ভোট দেন বিধায়করা। সাংসদরা সাধারণত সংসদেই ভোট দেন। কেউ চাইলে বিধানসভাতেও ভোট দিতে পারেন। তাহলে বিধায়কদের ‘নমুনা স্বাক্ষর’ নিয়ে রাখছে কেন রাজ্য বিধানসভা? এক আধিকারিক জানালেন, জুলাইয়ে যখন রাষ্ট্রপতি নির্বাচন হবে তখন যদি কোনও কারণে কোনও বিধায়ক রাজ্যে না থাকেন, তিনি যদি দিল্লিতে থাকেন তা সে যে কোনও কারণেই হোক না কেন, ওই বিধায়ক যাতে প্রয়োজনে সংসদে গিয়েও নিজের ভোট দিতে পারেন তার জন্যই এই সই সংগ্রহ করে রাখা। সংসদের কাছেও বিধায়কদের স্বাক্ষর পাঠানো এই কারণেই। এই মুহূর্তে প্রতিদিনই বিধায়করা বিধানসভায় যাচ্ছেন নমুনা স্বাক্ষর দিতে। বিধানসভার টিএডিএ সেকশনে চলছে এই কাজ। কাগজপত্রে যাতে কোনওরকম ত্রুটি না থাকে সে কারণে সদাসতর্ক থাকছেন বিধানসভার সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মীরা। ফলে অধিবেশন না থাকলেও এখন রোজই সরগরম থাকছে বিধানসভা চত্বর।
আরও পড়ুন: বাঁধে নজরদারি: সেচ, বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীদের বাতিল করা হল ছুটি, সরেজমিনে জেলাশাসক