সংবাদদাতা, দার্জিলিং : গাছের পাতার রং সাদা। বাড়ির ছাদে জমাটবাঁধা বরফ। রাস্তায় যেন ছড়ানো রয়েছে তুলো। যে দিকে চোখ যাচ্ছে সেদিকই ধবধবে সাদা। একটানা তুষারপাতে বরফের চাদরে মুড়ে রয়েছে সান্দাকফু। দার্জিলিং পার্বত্য এলাকার বিবেকভঞ্জন ও ফালুটেও গত কয়েকদিন ধরে রাতে হচ্ছে প্রবল তুষারপাত। ইতিমধ্যেই প্রশাসনের তরফে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে সিকিমের সিল্করুট। লাচেন, ছাঙ্গুতে আটকে থাকা পর্যটকদের উদ্ধার করে রাখা হয়েছে সেনা ছাউনিতে।
আরও পড়ুন-বাবু চলে বাজার, কুত্তা ভোকে হাজার! শুভেন্দুকে কটাক্ষ ফিরহাদের
দু-তিন দিন আগেও সান্দাকফু পর্যন্ত পর্যটক নিয়ে গাড়ি উঠছিল। কিন্তু পাহাড়ের খাড়া রাস্তায় বরফ জমে যাওয়ার কারণে গাড়ি আর উঠতে পারছে না। শিলিগুড়ির এক পর্যটন ব্যবসায়ী তন্ময় গোস্বামী পর্যটকেদের নিয়ে আটকে রয়েছেন সান্দাকফুতে। তিনি জানিয়েছেন, সর্বত্রই বরফের চাদরে ঢেকে রয়েছে। সন্ধ্যা হলেই পারদ নামছে হু-হু করে। এরপরই শুরু হচ্ছে তুষারপাত। প্রশাসনের তরফে নেওয়া হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। পর্যটকেদের প্রতি মুহূর্তে সতর্ক করা হচ্ছে। তবে দার্জিলিংয়ে শীত উপভোগ করছেন পর্যটকেরা। সান্দাকফুর রাস্তার উপর কয়েক মিটার পুরু বরফের আস্তরণ পড়েছে।
আরও পড়ুন-Abhishek Banerjee: তিনদিনের গোয়া সফরে গেলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় , সামনেই বিধানসভা ভোট
স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে খবর, তুষারপাতের জেরে কিছু রাস্তা বন্ধ রাখা হয়েছে। তারই ফলে প্রচুর পর্যটকই আটকে গিয়েছেন মাঝপথে। সান্দাকফুতে আটকে পড়া পর্যটকেদেরও ফিরিয়ে আনার কাজ চলছে। মঙ্গলবার নতুন করে বরফ পড়ায় সে-কাজে বিলম্বিত হতে পারে বলেই মনে করছে প্রশাসন। গত কয়েক বছর ধরে ডিসেম্বর-জানুয়ারি মাসে নিয়ম করে বরফ পড়ছে সান্দাকফুতে। সেই সঙ্গে আশপাশের এলাকাতেও। আর তার ভরসাতেই আশায় বুক বাঁধছেন পাহাড়ের ব্যবসায়ীরা। ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে ব্যাপক বরফ পড়েছিল পাহাড়ে। তাই পর্যটন ব্যবসাও লাভের মুখ দেখেছিল। করোনা অতিমারির দাপটে গত তেমন করে বেড়াতে যেতে পারেননি মানুষ। ফলে চলতি বছর পর্যটন নিয়ে আশায় বুক বাঁধছেন পাহাড়ের ব্যবসায়ীরা।