প্রতিবেদন : ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। সেই কারণেই এবার সন্দীপকে সাসপেন্ড করল রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর। মঙ্গলবার স্বাস্থ্য ভবনের তরফে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এ কথা জানানো হয়েছে। আরজি করে আর্থিক অনিয়ম মামলায় সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতারের পরদিনই নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে বরখাস্ত করা হয়েছে সন্দীপকে। ওয়েস্ট বেঙ্গল সার্ভিসেস (ক্লাসিফিকেশন, কন্ট্রোল অ্যান্ড অ্যাপিল) আইন, ১৯৭১-এর ৭(১সি) ধারায় সাসপেন্ড করা হয়েছে আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষকে।
আরও পড়ুন-৩০ কিলোমিটার দৌড় করিয়ে যুবককে খুন গো-রক্ষকদের
এদিকে, মঙ্গলবার আরজি করে আর্থিক অনিয়ম মামলায় ধৃত সন্দীপ-সহ চারজনকে বিশেষ সিবিআই আদালতে পেশ করলে তাদের ৮ দিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। সিবিআইয়ের তরফে ১০ দিনের হেফাজত চেয়ে আবেদন করলেও ৮ দিনের হেফাজত মঞ্জুর করেছে আদালত।
সোমবারই সন্ধ্যায় আরজি কর হাসপাতালের টেন্ডার সংক্রান্ত অনিয়মের তদন্তে টানা ১৬ দিন জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করা হয় সন্দীপকে। বিপ্লব সিংহ ও সুমন হাজরা নামের দুই ভেন্ডার ও সন্দীপের নিরাপত্তারক্ষী আফসার আলিকেও গ্রেফতার করে সিবিআইয়ের অ্যান্টি কোরাপশন ব্রাঞ্চ। মঙ্গলবার বিকেলে ধৃতদের আলিপুরের বিশেষ সিবিআই আদালতে আনার সময় সেখানে ছিল কেন্দ্রীয় আধাসেনা বাহিনীর কড়া নিরপত্তা। আদালত কক্ষে ঢোকার সময় প্রচুর আইনজীবী সেখানে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ দেখান। শামিল হন সাধারণ মানুষও। আদালতে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার তরফে জানানো হয়, ধৃতদের আরও জিজ্ঞাসাবাদ করে ও তথ্যপ্রমাণ খতিয়ে দেখে আর্থিক অনিয়মচক্রে আর কে কে জড়িত রয়েছে, তা খতিয়ে দেখতে চায় তারা। সেই তদন্তের স্বার্থে ১০ দিনের হেফাজতের আবেদন জানায় সিবিআই। কিন্তু বিচারক ৮ দিনের সিবিআই হেফাজত মঞ্জুর করেছেন। সন্দীপ ঘোষকে আদালত থেকে বের করে নিয়ে যাওয়ার সময়ও বেশ বেগ পেতে হয় সিবিআইকে। আইনজীবীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। মোতায়েন করতে হয় আরও বেশি ফোর্স। বিশেষ করে সন্দীপকে উদ্দেশ্য করে তাঁরা তীব্র বিক্ষোভ দেখান। চলে প্রতিবাদ-স্লোগানিং।