প্রশাসনিক সভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সন্দেশখালিতে সন্দেশ হাব (Sandesh Hub) তৈরির কথা ঘোষণা করেছিলেন। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মতো সন্দেশখালির ধামাখালিতে সন্দেশ হাব তৈরির প্রাথমিক কাজ শুরু হল। ধামাখালি বাসস্ট্যান্ডের কর্মতীর্থে এই সন্দেশ হাব তৈরি হবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলা প্রশাসন।
কর্মতীর্থের মধ্যেই ২০-২৫ টি দোকান নিয়ে হবে সন্দেশ হাব (Sandesh Hub)। অত্যাধুনিক ও দৃষ্টিনন্দন এই সন্দেশ হাব তৈরি করতে ব্যয় হবে ২ কোটি টাকার মতন। চলতি বছরের মাঝামাঝি সন্দেশ হাবের কাজ শেষ হতে পারে বলেই আশাকরছে জেলা প্রশাসন।
গত ৩০ ডিসেম্বর সন্দেশখালিতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশাসনিক সভা করেন। সেই সভায় বক্তব্য রাখার সময় তিনি সন্দেশখালি নামের নেপথ্যে সন্দেশ নামের মিষ্টির কথা উল্লেখ করেন। তারপরেই তিনি ঘোষণা করেন, ‘আগামী দিনে সন্দেশখালিতে আরও বেশি সন্দেশের দোকান তৈরি হবে। বেকার ছেলেমেয়েরা কাজ পাবেন। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা স্বাবলম্বী হয়ে উঠবেন।’ এরপরেই সন্দেশ হাব তৈরির তোড়জোড় শুরু করে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন।
আরও পড়ুন- ফের লাইনচ্যুত মালগাড়ি! ভোগান্তির শিকার যাত্রীদের
১২ জানুয়ারি জেলাশাসক শরদকুমার দ্বিবেদী-সহ জেলা প্রশাসনের এক প্রতিনিধি দল সন্দেশখালিতে যান। সঙ্গে ছিলেন স্থানীয় বিধায়ক সুকুমার মাহাতো সহ স্থানীয় জন প্রতিনিধিরা। এছাড়াও সন্দেশ হাব তৈরির উপযুক্ত জায়গা চিহ্নিত করার জন্য জেলাশাসক দুগ্ধ ও গবাদি পশুপালন শিল্পের সঙ্গে জড়িত বিশেষজ্ঞদেরও সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিলেন। সেদিন প্রাথমিকভাবে ধামাখালি বাসস্ট্যান্ড, রামপুর ও রাজবাড়ি বাজার চত্বরে তিনটি জমি পরিদর্শন করা হয়েছিলো।
এই প্রসঙ্গে জেলাশাসক শরদকুমার দ্বিবেদী জানান, ধামাখালি বাসস্ট্যান্ডের কর্মতীর্থেই সন্দেহ হাব তৈরি প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মত সন্দেশ হাব অত্যাধুনিক ও দৃষ্টিনন্দন করে তৈরি করা হবে। সন্দেশখালির ধামাখালিতে অনেক পর্যটকেরা আসেন। এখানের যাতায়াত ব্যবস্থাও ভালো। ধামাখালির সন্দেশ হাবকে কেন্দ্র পর্যটকরাও আকৃষ্ট হবেন। ফলে সন্দেশ বিক্রিও ভালো হবে। এছাড়াও বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি মেলাতেও স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মাধ্যমে এই সন্দেশ হাবের মিষ্টির স্টলের ব্যবস্থাও করা হবে। এতে ব্যবসায়ীরা উপকৃত হবেন। এই সন্দেশ হাবের মধ্য দিয়ে সন্দেশখালিও আর্থিকভাবে স্বচ্ছল হবে বলেই দাবি জেলাশাসকের।
সন্দেশখালি ২ নম্বর ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি দিলীপ মল্লিক বলেন, মুখ্যমন্ত্রী সন্দেশখালির মানুষের জন্য একের পর এক উন্নয়ন করে চলেছেন। তার নতুন সংযোজন সন্দেশ হাব। এই হাব হলে সন্দেশখালির সুনাম আরও ছড়িয়ে পড়বে। পর্যটকদের ভিড় বাড়বে। সন্দেশখালির মানুষেরা আর্থিকভাবে স্বচ্ছল হবে। রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানের এই উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন সন্দেশখালিবাসী।