সংবাদদাতা, সন্দেশখালি : সন্দেশখালির মা-বোনেদের অসম্মান করেছে বিরোধীরা। প্রতিবাদের নামে মহিলাদের উদ্দেশ্যে অশ্লীল মন্তব্য করা হয়েছে। এর বিরুদ্ধে সন্দেশখালির মা-বোনেদের রুখে দাঁড়ানোর পরামর্শ দিলেন রাজ্যের সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক। তিনি বলেন, ১০ মার্চ ব্রিগেডের জনগর্জন সভায় সন্দেশখালি থেকে ১৫০টি বাস-ভর্তি মানুষ উপস্থিত থাকবেন। রবিবার দুপুরে সন্দেশখালি ব্লকের এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের রামপুর স্কুলমাঠে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রকাশ্য কর্মিসভার মঞ্চ থেকে এমনই মন্তব্য করেন পার্থ ভৌমিক।
আরও পড়ুন-দিকে দিকে ডাক ব্রিগেড চলো কলকাতা থেকে জেলা মিছিল-সভায় উত্তাল
এদিনের সভায় পার্থ ভৌমিক ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু, বিধানসভার মুখ্য সচেতক নির্মল ঘোষ, জেলা সভাধিপতি তথা বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী-সহ বসিরহাট সাংগঠনিক জেলার নেতৃত্ব। সুজিত বসু বলেন, যারা অন্যায় করেছে, অপরাধ ও দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাদের সঙ্গে কোনও আপস করেন না। তারা গ্রেফতার হবে। কিছু ভাড়া করা মহিলাদের এনে সন্দেশখালির মা-বোনেদের অপমান করা হয়েছে। পার্থ ভৌমিক বলেন, আগামী ১০ মার্চ ব্রিগেডে জনগর্জন সভা থেকে আপনারা শপথ নিন, সন্দেশখালিতে ঝাঁপিয়ে পড়ুন।
মণিপুরে যা ঘটেছে তার পরও প্রধানমন্ত্রী একবারও সেখানে যাননি। হরিয়ানা, পাঞ্জাবে কৃষক বিদ্রোহ হচ্ছে। তা নিয়েও তাঁর মুখে কথা নেই। এই দ্বিচারিতার জবাব বাংলার মানুষ অবশ্যই দেবে। আর সিপিএমের কথা না বলাই ভাল। ৩৪ বছরে বাংলার মানুষকে কীভাবে ক্ষতি করেছে, কীভাবে জমি দখল করেছে তা বাংলার মানুষ জানে। এদিনের সভায় মানুষের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতোই। বড় সংখ্যায় এসেছিলেন মহিলারাও।
আরও পড়ুন-আজ রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে বৈঠকরাজ্যে এল কমিশনের ফুল বেঞ্চ
এদিকে ক্রমশ ছন্দে ফিরেছে সন্দেশখালি। পুলিশ, প্রশাসন, সর্বোপরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একাধিক পদক্ষেপে মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাত্রাও স্বাভাবিক হয়েছে। সেই কারণেই সন্দেশখালিতে ১৪৪ ধারার পরিধি কিছুটা কমানো হল। আগে সন্দেশখালি থানার মোট ৪৯টি জায়গায় জারি ছিল ১৪৪ ধারা। রবিবার সকাল দশটার পর সন্দেশখালি ও ন্যাজাট থানার সরবেড়িয়া, রামপুর, ধামাখালি-সহ ১১ জায়গায় এখনও পর্যন্ত জারি রয়েছে ১৪৪ ধারা। যা থাকবে ৬ মার্চ পর্যন্ত, এমনই জানিয়েছে পুলিশ।