সাধারণত তিনি অচেনা নম্বরের ফোন ধরেন না। কিন্তু একটা অচেনা নম্বর থেকে প্রায়ই ফোন আসত ৷ যথারীতি ফোন ধরতেন না রূপম ইসলাম৷ তবু সেই ফোন আসা থামে না। শেষে একদিন রূপমের স্ত্রী রুপসা বললেন একবার ফোনটা ধরেই দেখো না কে রোজ রোজ ফোন করে। তবু রুপম ফোন ধরতে রাজি নন ধরিয়ে দিলেন স্ত্রীকে , বললেন তুমি কথা বলো। রুপসা ফোন ধরলেন। ফোন ধরেই যেন বিস্ময়ের ঘোর কাটতে চাইছে না। রুপম জানতে চাইছেন কে ফোন করেছে? জরুটি দরকার কিছু? কিন্তু রুপসা কী বলবেন বুঝতেই পারছেন না। মুগ্ধতার রেশ কাটিয়ে রুপসা বললেন গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় তোমায় চাইছেন। তিনি কথা বলবেন তোমার সঙ্গে। বর্ষীয়ান শিল্পী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় রুপমকে বলেন ‘‘তুমি ব্যস্ত থাক, ফোন ধর না, আমি কিন্তু প্রায়ই ফোন করি। ’’ শুনে লজ্জায় কার্যত মাটিতে মিশে যাওয়ার মতো অবস্থা রূপমের ৷ নিজেই লিখেছেন সে কথা ৷ কোথায় মুখ লুকোবেন বুঝতে পারছেন না।’ সম্প্রতি নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে এই বিরলতম অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করেছেন রুপম ইসলাম। বাংলার বরেণ্য শিল্পী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় যে তাঁর সঙ্গে কথা বলার জন্য উদগ্রীব তা জানতে পেরে অত্যন্ত গর্বিত অনুভব করছেন রুপম। সেকথা সোশ্যাল সাইটে অকপটে স্বীকার করেছেন। সেই সঙ্গে সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের ফোন না ধরার জন্য তিনি যে তীব্র আত্মগ্লানিতে ভুগছেন সে কথা জানাতে ভোলেননি রূপম।
আরও পড়ুন-ওয়ার্ল্ড ইমোজি ডে-তে কাদের ভালোবাসার ইমোজি ছুড়লেন মিমি?
সেদিন প্রবীণা শিল্পীর সঙ্গে তাঁর দীর্ঘক্ষণ কথা হয়েছে। শিল্পী রূপমকে বলেছেন, ‘তোমাদের সবার গান আমি শুনি। বাংলা গানের কতরকম ধারা আছে। তোমারও নিজের একটা ধারা আছে। তোমার ধারা আমার ভাল লাগে।’’ সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় নিয়মিত রেডিয়ো শোনেন ৷ লিখেছেন রূপম ৷ বিভিন্ন স্টেশনে যে রূপমের গানও শুনেছেন, সে কথাও কনিষ্ঠকে জানাতে ভোলেননি ৷ এর পর রূপমের কাছে ফোনের অন্য প্রান্ত থেকে ভেসে আসে গান শোনানর আব্দার ৷ কিছুটা ভয়ে ভয়েই গান শোনান রূপম ৷ এর পর তাঁর জন্য ছিল আশীর্বাদ ও আন্তরিক প্রশংসা ।