সোশ্যাল মিডিয়ায় মিথ্যাচার, ‘সন্দীপ কোনও পদে নেই, সবটাই গুজব’

Must read

প্রতিবেদন : সন্দীপ ঘোষ (Sandip Ghosh) কোনও পদে নেই। তাঁর পোস্টিং নিয়ে যা রটছে, সবই গুজব। স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন স্বাস্থ্যসচিব। শুক্রবার সোশ্যাল মিডিয়া ও একশ্রেণির সংবাদমাধ্যমের মিথ্যাচারের পাল্টা জবাব দিল স্বাস্থ্যদফতর। এদিন সাংবাদিক বৈঠক করে স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম জানিয়ে দিলেন আরজি করের সন্দীপ ঘোষকে নতুন করে কোনও পদেই নিয়োগ করা হয়নি। তাঁকে ওএসডি পদে নিয়োগ করার যে খবর ছড়ানো হয়েছে তাকে গুজব বলে পুরোপুরি নস্যাৎ করে দিলেন স্বাস্থ্যসচিব। সেই সঙ্গে আরজি করের অধ্যক্ষ থাকাকালীন তাঁর বিরুদ্ধে যা যা আর্থিক বেনিয়মের অভিযোগ উঠেছিল তা নিয়ে সিট তদন্ত করছে বলেও জানিয়েছেন স্বাস্থ্যসচিব। এদিন ফের জুনিয়র ডাক্তারদের কাজে ফেরার অনুরোধ করেছেন স্বাস্থ্যসচিব। তিনি বলেন, স্বাস্থ্য ভবনের রেসিডেন্ট ডাক্তারদের সাথে একটি মিটিং করা হয়েছে এবং তাঁদের দাবি অনুযায়ী আরজি করে নতুন প্রিন্সিপাল এবং এমএসডিপি বদল করা হবে এবং এইচওডি চেস্ট মেডিসিন অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপারকে ট্রান্সফার করা হবে। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে ডাঃ সন্দীপ ঘোষ (Sandip Ghosh) ছুটিতে রয়েছেন। কিছু মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী সন্দীপ ঘোষকে স্বাস্থ্য ভবনে ওএসডি পদে নিযুক্ত করা হয়েছে কিন্তু এটা পরিষ্কারভাবে জানানো হচ্ছে এমন কোনও নির্দেশ দেওয়া হয়নি যেখানে তাঁকে স্বাস্থ্য ভবনে ওএসডি পদে নিযুক্ত করা হবে। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে নতুন প্রিন্সিপাল এবং এমএসবিপি তাঁরা দায়িত্ব নিয়েছেন এবং কাজ শুরু করেছেন ২২ তারিখ থেকে। আরজি করের আর্থিক অনিয়মের বিষয়টি দেখার জন্য একটি বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করা হয়েছে। স্বাস্থ্যসচিবের কথায়, তাঁরা— রেসিডেন্ট ডাক্তাররা মেডিক্যাল কলেজের মেরুদণ্ড। ডাক্তারদের কর্মবিরতি এবং তাঁদের অনুপস্থিতির কারণে রাজ্য এবং রাজ্যের বাইরে বহু মেডিক্যাল কলেজে রোগীরা সমস্যায় পড়ছেন। বিশেষত ক্যানসার, নিউরোলজি, কার্ডিওলজির চিকিৎসাব্যবস্থা শুধুমাত্র রয়েছে মেডিক্যাল কলেজগুলিতে ডাক্তারদের কর্মবিরতির কারণে এই বিশেষ ক্ষেত্রগুলিতে রোগীরা বিভিন্ন সমস্যায় পড়ছেন। সরকারি হাসপাতালগুলিতে সিনিয়র ডাক্তাররা বিশেষ পরিষেবা দিচ্ছেন এটি প্রশংসনীয় কিন্তু সরকারি হাসপাতালগুলিতে যে-সমস্ত গরিব রোগী রয়েছেন তাঁরা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। সুপ্রিম কোর্ট অনুরোধ করেছে জুনিয়র ডাক্তারদের কাজে যোগ দেওয়ার জন্য শুধুমাত্র এই রাজ্যে নয় এই রাজ্যের বাইরের রাজ্যগুলিতেও— মূলত এইমস দিল্লি এবং এইমস কল্যাণী। আমরা অনুরোধ করছি চিকিৎসাব্যবস্থা আবার স্বাভাবিকভাবে শুরু করার।
নিরাপত্তা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে সিআইএসএফ নিরাপত্তার দায়িত্ব গ্রহণ করেছে এবং রাজ্য সরকার এতে সহযোগিতা করেছে। রাজ্য সরকার রেসিডেন্ট ডাক্তারদের নিরাপত্তাব্যবস্থা সুরক্ষিত করেছে এবং এবং রাত্রি সাথী প্রকল্প শুরু করেছে। রাজ্য সরকার ডাক্তারদের কাজে নিরাপত্তার জন্য প্রত্যেকটা মেডিক্যাল কলেজ ক্যাম্পাসে হোস্টেলে সার্ভে করেছে এবং আরও সিসিটিভি লাগানোর ব্যবস্থা করেছে।

আরও পড়ুন- প্রতারণার অভিযোগ! অনিল আম্বানিকে ৫ বছরের জন্য নিষিদ্ধ সেবির

Latest article