বিজেপিকে চরম হুঁশিয়ারি সংঘের

ঘটনা হল, জে পি নাড্ডার পরে বিজেপির নতুন সর্বভারতীয় সভাপতি কে হবেন, তা নিয়ে সংঘ পরিবারের সঙ্গে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের টানাপোড়েন নতুন নয়।

Must read

প্রতিবেদন: বিজেপির সঙ্গে সংঘের দ্বন্দ্ব চরমে। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি বাছাইকে কেন্দ্র করে তীব্র মতভেদ প্রকট হয়ে উঠেছে। বিজেপিকে রীতিমতো হুঁশিয়ারি দিয়েছে সংঘ। ওয়াকফ আইন নিয়ে সুপ্রিম ধাক্কায় এমনিতেই নড়বড়ে অবস্থা বিজেপির। গোদের উপরে বিষফোড়ার মতো সামনে এসেছে দলের সর্বভারতীয় সভাপতি বাছাই নিয়ে নজিরবিহীন দ্বন্দ্ব। আরএসএস বা সংঘ পরিবারের শীর্ষ স্তর চাইছে, বিজেপির সভাপতি হোন তাদের পছন্দের লোক। অন্যদিকে নরেন্দ্র মোদি এবং অমিত শাহ চাইছেন দলের সভাপতি পদে নিজেদের লবির লোক বসিয়ে আগের মতোই দলের পুরো নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে রাখতে। এই টানাপোড়েনের মাঝে রীতিমতো নাজেহাল অবস্থা বিজেপির প্রথম সারির নেতাদের। শ্যাম রাখি না কুল? কোন দিকে যাবেন বুঝে উঠতে পারছেন না তাঁরা।

আরও পড়ুন-যুক্তরাষ্ট্রীয় আদর্শের বিরুদ্ধে এই নয়া ওয়াকফ আইন

উল্লেখ্য, আগামী সোমবার শুরু হতে চলা বিজেপির কর্মসমিতির বৈঠকের আগেই বিজেপির নতুন সভাপতি বেছে নেওয়া হোক, এমনটাই চাইছে সংঘ পরিবার। যদি তা না হয়, তাহলে বিজেপির থেকে তাঁদের সমস্ত প্রতিনিধিকে প্রত‌্যাহার করে নেওয়া হবে বলে সংঘের তরফে চরম হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে। জাতীয় ও রাজ্যস্তরে বিজেপির সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) পদে যাঁরা থাকেন তাঁরা আরএসএস-এর প্রতিনিধি হন। এই সাংগঠনিক সম্পাদকদের তুলে নেওয়া হবে বলে সংঘের তরফে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। এর পরেই বেড়েছে স্নায়ুযুদ্ধের উত্তাপ। মাস ছয়েকের মধ্যেই বিহারের বিধানসভা ভোট। তার আগে এমন কিছু হোক, একেবারেই চান না বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব।

আরও পড়ুন-বিবস্ত্র করে গরুর গাড়িতে বেঁধে ঘোরানো হল ধর্ষণে অভিযুক্তকে

ঘটনা হল, জে পি নাড্ডার পরে বিজেপির নতুন সর্বভারতীয় সভাপতি কে হবেন, তা নিয়ে সংঘ পরিবারের সঙ্গে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের টানাপোড়েন নতুন নয়। এই সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে একের পর এক বৈঠক করেছেন দুই শিবিরের শীর্ষ নেতারা। তারপরেও হয়নি সমস্যার সমাধান। নিজেদের পছন্দের প্রার্থীর নামে সিলমোহর দেওয়ার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নাগপুরে সংঘের সদর দফতরেও ছুটে যেতে হয়েছে। আলোচনা করতে হয়েছে সংঘপ্রধান মোহন ভাগবতের সঙ্গে। এর পরেও সমাধান অধরা। চলতি সপ্তাহে দিল্লিতে বেশ কয়েকবার বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এই বৈঠকেও কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়নি। এই পরিস্থিতিতে কোথাকার জল কোথায় গড়ায়, সেদিকেই এখন সবার নজর।

Latest article