প্রতিবেদন : দেশের বিজেপি বিরোধী দলগুলির অভিযোগ, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে হেনস্থা করতে সিবিআই, ইডির মতো কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলিকে তাদের বিরুদ্ধে কাজে লাগায় বিজেপি। বিরোধীদের তোলা সেই রাজনৈতিক প্রতিহিংসার তত্ত্ব যে সঠিক তা প্রমাণ করলেন বিজেপিরই এক সাংসদ। প্রকাশ্যে স্বীকার করলেন, স্রেফ বিজেপি করেন বলেই তাঁর বিরুদ্ধে যে কখনও কোনও তদন্ত হবে না তা তিনি জানেন। বিজেপি সাংসদের এই স্বীকারোক্তি সামনে আসতেই তোলপাড়। বিরোধীদের তোলা অভিযোগ যে এতটুকু ভিত্তিহীন নয় সেটাই প্রমাণ করে দেখালেন মহারাষ্ট্রের বিজেপি সাংসদ সঞ্জয় পাতিল। প্রকাশ্যে তিনি বলেন, এখন আমি বিজেপি সাংসদ। তাই সিবিআই বা ইডি কেউ আর আমার পিছনে আসবে না, তা আমি ভাল করেই জানি।
দিন কয়েক আগে হর্ষবর্ধন পাতিল নামে এক বিজেপি নেতাও একই কথা বলেছিলেন। তাঁর বক্তব্য ছিল, বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর থেকেই তিনি নিশ্চিন্তে ঘুমোচ্ছেন। কারণ এখন আর তাঁকে কোনও ধরনের জিজ্ঞাসাবাদের মধ্যে পড়তে হচ্ছে না। যথারীতি বিজেপি সাংসদ ও বিজেপিরই এক নেতার এই কথায় তীব্র বিতর্ক শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
বাস্তব অভিজ্ঞতায় দেখা গিয়েছে, নরেন্দ্র মোদি সরকার সর্বদাই সিবিআই, ইডি, আয়কর বিভাগের মতো কেন্দ্রীয় সংস্থাকে বিরোধীদের পিছনে লাগিয়ে রেখেছে।
আরও পড়ুন : ব্যাঙ্ক বেসরকারীকরণের ইঙ্গিত কেন্দ্রের বিরোধিতা হবে, জানাল তৃণমূল কংগ্রেস
বিরোধীদের নানাভাবে হেনস্থা করাই যে মোদি সরকারের একমাত্র লক্ষ্য বারেবারে এমন অভিযোগ উঠেছে। কিন্তু সেই অভিযোগের সপক্ষে তেমন কোনও জোরালো প্রমাণ মেলেনি। এবার সেই প্রমাণ বিরোধীদের হাতে তুলে দিলেন মহারাষ্ট্রের বিজেপি সাংসদ।
সঞ্জয় পাতিলই একমাত্র বিজেপি সাংসদ যিনি প্রথম প্রকাশ্যে এই কথা স্বীকার করলেন। চলতি মাসে বিজেপি নেতা হর্ষবর্ধন পাতিলও একই মন্তব্য করেছেন। ২০১৯ সালে কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে আসা হর্ষবর্ধন বলেন, কেউ যদি আমার কাছে জানতে চায় আমি কেন বিজেপিতে যোগ দিয়েছি, তবে আমি বলব নিশ্চিন্তে ঘুমানোর জন্য। বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর আমাকে আর এখন কারও কোনও এজেন্সির প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে না।