১৬২ দিনের মাথায় রায়দান: আরজিকর কাণ্ডে দোষী সঞ্জয়ই! সোমে সাজা ঘোষণা

Must read

১৬২ দিনের মাথায় বিচার পেলেন আরজিকর খুন-ধর্ষণ কাণ্ডের তরুণী চিকিৎসক। ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই অভিযুক্ত সঞ্জয় রাইকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ। শুরু হয় তদন্ত। পরে তদন্ত শুরু করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। কিন্তু সেই কলকাতা পুলিশ যাকে গ্রেফতার করেছিল অর্থাৎ সঞ্জয়কে ছাড়া কাউকেই সিবিআই গ্রেফতার করেনি। অবশেষে আরজিকর কাণ্ডে চিকিৎসক ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় শিয়ালদহ আদালতে দোষী সাব্যস্ত সঞ্জয় রাই। আগামী সোমবার দুপুর ১২:৩০ নাগাদ সাজা ঘোষণা।

যদিও এই মামলায় সর্বোচ্চ শাস্তির সম্ভাবনার কথাও শনিবার আদালতে জানান বিচারক। যদিও এদিনও সঞ্জয় নিজেকে নির্দোষ দাবি করার চেষ্টা করে। বিচারক অণির্বান দাস জানিয়ে দিলেন সঞ্জয়ের অপরাধের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড, সর্বনিম্ন আমৃত্যু কারাবাস।

আরও পড়ুন- অপরাধীদের রেয়াত করা হবে না, সাজ্জাককে এনকাউন্টারের পর জানালেন এডিজি

শনিবার সকাল থেকে শিয়ালদহ আদালত চত্বরের বাইরে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা মোতায়েন রাখে কলকাতা পুলিশ। ত্রিস্তর নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে বেলা ১টা নাগাদ আদালতে প্রিজন ভ্যানে এসে পৌঁছায় সঞ্জয়। বেলা ২.১৫ নাগাদ বিচারক অনির্বান দাসের এজলাসে শুরু হয় এই মামলার রায়দান প্রক্রিয়া। বিচারক আর জি কর মামলার ঘটনা বিবরণী পড়ে শোনান। ফরেনসিক রিপোর্ট অনুযায়ী সঞ্জয়ের ডিএনএ নমুনা পাওয়া গিয়েছিল ঘটনাস্থলে। এরপরই বিচারক জানান সব দিক থেকে দোষী সাব্যস্ত সঞ্জয় রায়ই। ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৬৪, ৬৬ ও ১০৩(১) ধারায় দোষী সাব্যস্ত করা হয় তাকে।

বিএনএস-এর ৬৪ ধারা অনুযায়ী ধর্ষণে অভিযুক্ত সঞ্জয়ই। সেই সঙ্গে বিএনএস-এর ৬৬ ধারা অনুযায়ী ধর্ষণের সময় গুরুতর আঘাতের কারণে মৃত্যুর দোষীও সঞ্জয়। আবার বিএনএস-এর ১০৩ (১) ধারা অনুযায়ী খুনেও অভিযুক্ত সে। বিচারক তাকে দোষী সাব্যস্ত করার পরই নিজেকে নির্দোষ দাবি করার চেষ্টা করে সঞ্জয়। বিচারক তার কথা শুনে জানান, সোমবার তার কথা শোনা হবে। সেই সঙ্গে জানান, এই অপরাধের জন্য সর্বনিম্ন শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসি হতে পারে।

Latest article