ডারবান, ৮ নভেম্বর : পাওয়ার প্লের মধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকা যখন ৪৪/৩, সেই জুটি একসঙ্গে হলেন। কেনসিংটন ওভালে ক্লাসেন আর মিলার প্রায় রোহিতের হাত থেকে বিশ্বকাপ নিয়ে গিয়েছিলেন। হয়নি সূর্যর ক্যাচে। এখানে হল না বরুণ ম্যাজিকে। টুক টুক করে দুজনকেই তুলে নিয়ে ওরা দক্ষিণ আফ্রিকাকে ঠেসে ধরলেন। ক্লাসেন ২৫। মিলার ১৮। দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংসে আর কাউকে পাওয়া যায়নি যিনি ২০৩ করে জেতাতে পারেন। বরুণ আর বিষ্ণোই আফ্রিকানদের গুটিয়ে দিলেন ১৪১ রানে। বরুণ নিয়েছেন ৩ উইকেট। বিষ্ণোইও তাই। সঞ্জুর ব্যাটে ঝড় তুলেছিল ভারত। পরে স্পিনারররা এমন চেপে ধরলেন যে মার্করামদের ১৩ বল নাকি রেখে ভারত জিতল ৬১ রানে। সিরিজেও এগিয়ে গেল তারা।
আরও পড়ুন-রাজ্যে দুই সংস্থার দুই প্রকল্প, চাকরি ১২ হাজারের বেশি
সঞ্জুর বিরুদ্ধে বড় অভিযোগ ধারাবাহিকতার অভাব। এই রান করলেন তো কোথায় হারিয়ে গেলেন। কিন্তু তিনি যেদিন খেলেন, তাকিয়ে দেখতে হয়। শুক্রবার সেরকম একটা দিন গেল কিংসমিডে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ৪৭ বলে সেঞ্চুরি করে পিছনে ফেলে দিলেন সূর্যকুমার যাদবের ৫৫ বলে সেঞ্চুরিকে। শেষমেশ ৫০ বলে ১০৭ রান করে ফিরে গেলেন সঞ্জু। ৭টি চার, ১০টি ছক্কা। হায়দরাবাদে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রথম টি-২০ সেঞ্চুরি করেছিলেন। এখানে প্রথম ম্যাচে আবার। ধারাবাহিকতা নিয়ে আর প্রশ্ন তোলার সুযোগ নেই। তিলক ৩৩ রানের ক্যামিও করে গেলেন। এসবের জন্যই ২০ ওভারে ভারত ২০২/৮। তখনই ম্যাচ প্রায় সূর্যদের দখলে।
আরও পড়ুন-কল্যাণের অসাধারণ সওয়াল, বর্ধমানের সেই দশ জুনিয়র ডাক্তারও ক্লাসে ফিরছেন
টসের আগে সূর্য আর মার্করামের কাছে একই প্রশ্ন রাখা হয়েছিল। আইপিএল নিয়ে কথা হচ্ছে ড্রেসিংরুমে? সূর্য কোনও ভনিতা না করে বলেন, মানুষ তো। একটু-আধটু কথা হবেই। তবে আমরা জানি সামনে একটা সিরিজ রয়েছে। প্রত্যেকে এত ম্যাচ খেলেছে। মার্করাম অবশ্য এত ব্যাখ্যায় যাননি। তিনি বরং উইকেটের নিচে জুসের কথা বললেন। টসে জিতে আগে সূর্যদের ব্যাট করতে দিলেন সেই কারণে। কিন্তু সূর্য দাবি করলেন, আমরা আগে ব্যাট করতেই চেয়েছিলাম। যাতে টার্গেট সামনে রাখা যায়।
অভিষেক আর সঞ্জু ইনিংস শুরু করার পর ভারত ভালই এগোচ্ছিল। কিন্তু ২৪ রানে অভিষেকের (৭) উইকেট চলে গেল কোয়েতজের বলে। অভিষেক একটু বেশি হাঁকপাক করছিলেন। ভারত অবশ্য পাওয়ার প্লের শেষে ৫৬/১ তুলে নিতে পেরেছিল সঞ্জুর জন্য। অভিষেকের পর তিনে সূর্য নেমেছিলেন। তাঁকে শান্ত রেখে চালিয়ে খেললেন সঞ্জু। তাঁর হাফ সেঞ্চুরি হয়ে যাওয়ার পর সূর্য আউট হলেন ২১ রানে। ক্রুগারের নাকল বলে কব্জির ফ্লিকে মিড উইকেট বাউন্ডারির ওপারে পাঠাতে চেয়েছিলেন স্কাই। কিন্তু সেটা হয়নি।
এই সিরিজে কিছু নতুন মুখ বেছে নিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। পিটার, সিমেলানরা ঘরোয়া ক্রিকেটে ভাল খেলে জাতীয় দলে এসেছেন। রাবাডা, ডিকক, নরখিয়াদের মতো স্পেশালিস্ট টি-২০ তারকারা এই সিরিজে খেলছেন না। নতুনরা সেই জায়গা ভরিয়েছেন। কিন্তু আফ্রিকানদের বোলিং ভাল হয়নি। মার্করাম অ্যাডভান্টেজ নেবেন বলে বোলিং নিয়েছিলেন। কিন্তু বোলাররা কিছুই করতে পারেননি। মার্কো জেনসেন অভিজ্ঞ। তাঁকে প্রথম স্পেলে দুই ওভারের বেশি বল দেওয়া হয়নি। পরে এসে রান আটকালেন। কিন্তু ততক্ষণে যা ক্ষতি হয়ে গিয়েছিল।