সংবাদদাতা, আসানসোল : মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের দুঃস্থ লোকশিল্পীদের জন্য বিশেষ ভাতার ব্যবস্থা করেছেন। এতে হয়তো শিল্পীরা আর্থিকভাবে বিশাল সমৃদ্ধ হন না ঠিকই, কিন্তু সরকার তাঁদের সৃষ্টি, শিল্পকে স্বীকৃতি দিয়ে তাঁদের শিল্পকর্মকে অনেক বেশি উৎসাহিত করছেন। কেন্দ্রীয় সরকারেরও উচিত ছিল দুঃস্থ কলাকুশলী, চলচ্চিত্রশিল্পীদের শিল্পকর্মকে উৎসাহ প্রদান করা।’ রবিবার আসানসোলের রবীন্দ্রভবনে ‘তৃতীয় সাঁওতাল সিনে অ্যাওয়ার্ড’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে বললেন অভিনেতা-সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহা।
আরও পড়ুন-বীরভূমে ‘কন্যাশ্রী’ প্রাপক লক্ষাধিক
‘অল ইন্ডিয়া সাঁওতাল পিকচার্স অ্যাসোসিয়েশন’ নির্মিত বেশ কয়েকটি সাঁওতালি চলচ্চিত্রে নজরকাড়া অভিনয় ছাড়াও কাহিনিচিত্রের বিন্যাস, পরিচালনা ও দৃষ্টিনন্দন উপস্থাপনার জন্য এদিনের অনুষ্ঠানে বেশ কয়েকজন শিল্পী ও পরিচালককে সংবর্ধনা জ্ঞাপন করা হয়। সাংসদ বলেন, তিনি হিন্দি ছাড়াও ইংরেজি, গুজরাটি, মারাঠি প্রভৃতি ভাষায় ২৫০টিরও বেশি কাহিনিচিত্রে অভিনয় করলেও ভারতের অন্যতম প্রাচীন আদিবাসী সাঁওতালি ভাষায় নির্মিত কোনও ছায়াছবিতে কাজ করার সুযোগ পাননি। শত্রুঘ্ন বলেন, এই ধরনের আঞ্চলিক ভাষার ছবিতে যাঁরা অভিনয় করেন, তাঁদের অনেকেই বলিষ্ঠ অভিনেতা-অভিনেত্রী। মুখ্যমন্ত্রী এইসব শিল্পী কুশীলবদের জন্য অ্যাকাডেমি তৈরি করে বাংলা তথা ভারতের লোক শিল্পসংস্কৃতিকে একটি সম্মানজনক উচ্চতায় নিয়ে যাবার আপ্রাণ চেষ্টা করে চলেছেন। আইন ও পূর্তমন্ত্রী মলয় ঘটক আদিবাসী কলাকুশলীদের উন্নত শিল্পবোধের ভূয়সী প্রশংসা করেন। উপস্থিত ছিলেন আসানসোল উপপ্রধান অভিজিৎ ঘটক।