বিশ্বভারতীর ছাত্রাবাসে সরস্বতীপুজো, নিন্দায় মুখর আশ্রমিক থেকে সাধারণ

ফের বিতর্কের শিরোনামে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। ব্রাহ্মধর্মের অনুসারী বিশ্বভারতী মূর্তিপুজোয় বিশ্বাস করে না। তাই মূর্তিপুজো হয়ও না।

Must read

সংবাদদাতা, বোলপুর : ফের বিতর্কের শিরোনামে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। ব্রাহ্মধর্মের অনুসারী বিশ্বভারতী মূর্তিপুজোয় বিশ্বাস করে না। তাই মূর্তিপুজো হয়ও না। সেই প্রথা ভেঙে বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তিশ্রী ছাত্রাবাসের একটি ঘরে এবার সরস্বতী পুজোর (Saraswati puja) আরাধনা হল। যার ভিডিও সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হতেই শুরু হল চরম বিতর্ক। নিন্দায় সরব প্রাক্তনী, পড়ুয়া, প্রবীণ আশ্রমিক থেকে স্থানীয়রা। মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ আশ্রম প্রতিষ্ঠা করে নিরাকার ব্রহ্মের উপাসনা শুরু করেছিলেন। পরে রবীন্দ্রনাথ বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। দেশের আর পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ে সম্পূর্ণ আলাদা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃতি, পঠনপাঠন পদ্ধতিও। এখানে মূর্তিপুজো কঠোরভাবে নিষিদ্ধ।

আরও পড়ুন-পাচার রুখতে সরস্বতী পুজোর দিনে ১৪ গণবিবাহ

সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রাবাসে কেন পুজো হবে? সেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। প্রবীণ আশ্রমিক সুপ্রিয় ঠাকুর বলেন, ‘বিশ্বভারতী ক্যাম্পাসের মধ্যে মূর্তিপুজো ও ব্যক্তিপুজো বিরোধী। এখানে আশ্রম প্রতিষ্ঠাতা মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ বা বিশ্বভারতী প্রতিষ্ঠাতা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরেরও কোনও মূর্তি নেই। এমন কাজ যদি পড়ুয়ারা করে থাকে অবশ্যই নিন্দার। বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের নজরদারি প্রয়োজন।’ প্রাক্তনী সুবীর বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘সরস্বতীপুজোকে ঘিরে পড়ুয়াদের এমন আচরণ অত্যন্ত নিন্দার। যা কখনই কাম্য নয়।’ তৃণমূল ছাত্র সংগঠনের রাহুল আচার্য বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে মূর্তিপুজোর চল নেই। ওয়ার্ডেন, নিরাপত্তারক্ষী, থাকা সত্ত্বেও শান্তিশ্রী বয়েজ হস্টেলে কীভাবে সরস্বতীপুজো হতে পারে। কর্তৃপক্ষের অবশ্যই নজরদারির প্রয়োজন।’ তবে এ নিয়ে উপাচার্য ও পিআরও-কে ফোন করলে ওঁরা জানান, এমন কোনও ঘটনা তাঁদের জানা নেই।

Latest article