সংবাদদাতা, বহরমপুর : সাংসদ শতাব্দী রায় নিজের এলাকায় উন্নয়নের প্রস্তাব দিয়েছিলেন, কাজও শুরু হয়েছিল, কিন্তু রাজ্যের উন্নয়ন কখনও মসৃণভাবে হতে দিতে পারে কেন্দ্র? যথারীতি রেলের বাগড়ায় বন্ধ হয়ে যায় কাজ। শেষমেশ লোকসভায় প্রশ্নোত্তর পর্ব চলাকালীন সরব হন বীরভূমের সাংসদ শতাব্দী রায়। সংসদে বলেন, ‘বীরভূমে কয়েকটি রেলওয়ে ওভারব্রিজ নির্মাণের প্রস্তাব দিয়েছিলাম। সাঁইথিয়া এবং নলহাটিতে কাজ শুরুই হয়নি। সিউড়িতে কাজ চলছে খুব ধীরগতিতে। যানজট বাড়ছে। সমস্যায় পড়েছেন সাধারণ মানুষ। ডিআরএম-কে ছোট ছোট কাজ করানোর জন্য ক্ষমতা দেওয়া হোক।
আরও পড়ুন : বিজেপিতে ফের কামিনী-কাঞ্চনের অভিযোগ
সংসদ তহবিলের টাকা এতটাই কম যে, সেই সমস্ত কাজ করা সম্ভব নয়। রেল মন্ত্রককে বারবার বলেও লাভ হচ্ছে না। মন্ত্রক কাজ না করলে আমরা কোথায় যাব!’ সাংসদের অভিযোগ পেয়েই তৎপর হন রেলের আধিকারিকরা। হাটজনবাজারে পরিদর্শনে যান জেলাশাসক বিধান রায়, রেলওয়ে ডিভিশনাল ইঞ্জিনিয়ার জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের ইঞ্জিনিয়াররা। জানা গিয়েছে, নকশা-সমস্যায় পরবর্তী কাজের অনুমতি দেয়নি রেল। জট ছাড়িয়ে পুনরায় নির্মাণকাজ দ্রুত শুরু করতে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করেন তাঁরা। জেলাশাসক বলেন, ‘কিছু সমস্যায় সিউড়ির রেলওয়ে ওভারব্রিজ নির্মাণের কাজ থমকে। আলোচনা করে দ্রুত শুরুর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। নলহাটি-সহ অন্যান্য ওভারব্রিজের কাজও দ্রুত শুরু হবে।’ আরামবাগের সাংসদ অপরূপা পোদ্দারও কামারকুণ্ডুতে আন্ডারপাস তৈরি এবং করোনা মোকাবিলায় অক্সিজেন এবং টিকা নিয়ে সংসদে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগ তুলতে চলেছেন বলে জানা গিয়েছে।