অসীম চট্টোপাধ্যায়, আসানসোল : হাতে রয়েছে আর তিনটি দিন। তাই পুরনির্বাচনের আগের শেষ রবিবাসরীয় প্রচারকে রঙিন করে তোলার চেষ্টা করা হল শাসক দলের পক্ষ থেকে। কোভিড বিধি মেনেই এদিন বেশ কয়েকটি রোড শোয়ের আয়োজন হয় শহরের বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডে। দলের তরফে বেশ কয়েকজন তারকা মুখকে প্রচারের আঙিনায় নিয়ে আসা হয়। পুরনিগমের ১০৬টি ওয়ার্ডেই দাপিয়ে প্রচার করেছেন রাজ্যের আইন ও পূর্তমন্ত্রী মলয় ঘটক। রবিবার বীরভূমের তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress) সাংসদ ও অভিনেত্রী শতাব্দী রায়ের উপস্থিতিতে এক যুগলবন্দি প্রচার সারেন মন্ত্রী। এদিন বার্নপুরের চিত্রা মোড় থেকে এক বর্ণাঢ্য রোড শো বের করা হয়। শহরের বিভিন্ন পথ পরিক্রমার পর রোড শোটি মহিশীলা কলোনিতে এসে শেষ হয়। মন্ত্রী মলয় ঘটক ও শতাব্দী রায়কে দেখতে রাস্তার দু’ধারে হাজার হাজার উচ্ছ্বসিত মানুষ জমায়েত হন। শেষে প্রয়াত সুরসম্রাজ্ঞী লতা মঙ্গেশকরকে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন মন্ত্রী ও সাংসদ।
আরও পড়ুন – কলকাতায় সাড়া পাড়ায় শিক্ষালয়ের
মলয়বাবু বলেন, তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress) যদি দরজা খুলে দেয়, তাহলে বিজেপির ঘর মুহূর্তে খালি হয়ে যাবে। বিধানসভা নির্বাচনের ফল বেরনোর পর থেকে প্রতি দিন শয়ে শয়ে বিজেপি নেতা-কর্মীর আবেদনপত্র জমা পড়ছে। প্রত্যেকেই তাঁরা তৃণমূলে শামিল হতে চাইছেন। কিন্তু দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এ ব্যাপারে কড়া নির্দেশ রয়েছে, যাকে-তাকে দলে নেওয়া যাবে না। নেত্রী একবার ইঙ্গিত দিলেই তাসের ঘরের মতো হুড়মুড় করে ভেঙে পড়বে গেরুয়া শিবিরের সংগঠন। মন্ত্রী বলেন, আমরা চাই না রাজ্যের গণতান্ত্রিক পরিবেশ কোনওভাবে বিনষ্ট হয়ে যাক। কিন্তু বিজেপি যদি এইভাবে টাকা ছড়িয়ে মানুষের মৌলিক অধিকার হরণ করার চেষ্টা করে, টাকার বিনিময়ে ভোট কেনার চেষ্টা করে, সেক্ষেত্রে তৃণমূলও তা প্রতিরোধে সর্বশক্তি প্রয়োগ করতে বাধ্য হবে। সাংসদ শতাব্দী রায় উপস্থিত জনতার উদ্দেশে বলেন, যদি আপনারা শান্তিতে বসবাস করতে চান, রাজ্যের সামগ্রিক উন্নয়ন চান, তাহলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত শক্ত করুন। ধর্ম নিরপেক্ষ, বিভেদহীন সমাজ গড়ার লক্ষ্যে তৃণমূলকে ভোট দিন।