সৌম্য সিংহ, রামপুরহাট : মাইক্রোস্কোপিক হলেও বিরোধী যে একেবারে নেই তা নয়, তবে আত্মবিশ্বাসের খাতা একেবারে শূন্য বললেই চলে। বিরোধীদের একটা অংশ অবশ্য একটু বেশি মাত্রায় বাস্তববাদী। তারই প্রতিফলন ঘটেছে রামপুরহাট পুরসভার ৫টি ওয়ার্ডে। নির্বাচনে বিপর্যয় নিশ্চিত জেনে অনেক আগেই লড়াই থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন বিরোধী প্রার্থীরা। ফলে ১৮টি আসনের মধ্যে ৫টি আসনেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress) প্রার্থীরা। কিন্তু তাই বলে আত্মতুষ্টির কোনও অবকাশ রাখছে না দল। বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার তথা রামপুরহাটের বিধায়ক এবং তারাপীঠ-রামপুরহাট উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় আদাজল খেয়ে চষে বেড়াচ্ছেন গোটা শহর। রীতিমতো আত্মবিশ্বাসের সুরে তাঁর মন্তব্য, ‘উন্নয়ন অভিযানকে সামনে রেখেই নির্বাচনে লড়ছি আমরা। সেই কারণেই জনসংযোগ অভিযানে বিন্দুমাত্র ঘাটতি নেই আমাদের। ১৮টা ওয়ার্ডেই জয় নিশ্চিত দলের।’ প্রচার অভিযানকে বিশেষ মাত্রা দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress) সাংসদ শতাব্দী রায়। চূড়ান্ত পর্যায়ের প্রচারে রবিবার পৌঁছন এলাকায়। ২৫ তারিখ অবধি ঠাসা প্রচারসূচি। স্টেশনের অদূরেই ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে দলের নির্বাচনী কার্যালয়ে এখন তুমুল ব্যস্ততা।
আসলে তারাপীঠ-রামপুরহাট উন্নয়ন পর্ষদের দৌলতে গত ৫ বছরে তারাপীঠের চেহারা যেমন আমূল বদলে গিয়েছে,
ঠিক তেমনই অর্থনৈতিক ভিত আরও মজবুত হয়েছে রামপুরহাটেরও। পর্যটন শিল্পকে ঘিরে খুলে গিয়েছে অজস্র কর্মসংস্থানের দরজা।