প্রতিবেদন : সপ্তসিন্ধু জয়ের খুব কাছে পৌঁছে গেলেন সায়নী দাস। নর্দার্ন আয়ারল্যান্ডের নর্থ চ্যানেল পেরিয়ে নতুন কীর্তি গড়লেন কালনার মেয়ে। প্রথম ভারতীয় মহিলা সাঁতারু হিসেবে নর্থ চ্যানেল জয় সায়নীর। সাতটি চ্যানেলের লক্ষ্যে পঞ্চম চ্যানেল পেরোলেন বঙ্গতনয়া। এখন বাকি রইল সুগারু ও জিব্রাল্টার প্রণালী। সফল হতে পারলে বুলা চৌধুরীর পর সায়নীরও মাথায় উঠবে ‘ওসান সেভেন’ মুকুট।
শুক্রবার ভোর রাতে এল সাফল্য। নর্থ চ্যানেল জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছতে দীর্ঘ ১৩ ঘণ্টা ২২ মিনিট জলে ছিলেন সায়নী। আগের চারটি চ্যানেল জয়ের মতোই এই চ্যানেল জয়ের পথেও কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয়েছে তাঁকে। ৬-৭ মাইলের ক্ষেত্রে পরিস্থিতি এমন দাঁড়ায় যে, সায়নীকে দীর্ঘক্ষণ এক জায়গায় থাকতে হয়। তিন ঘণ্টায় মাত্র এক কিলোমিটারের মতো পথ অতিক্রম করতে পারেন বাংলার মেয়ে। জলের টান এবং জেলিফিসের জন্য কঠিন পরীক্ষার মধ্যে পড়তে হয়। সব বাধা পেরিয়ে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছন সায়নী।
আরও পড়ুন-প্যারালিম্পিকে পঞ্চম পদক, এবার শুটিংয়ে ব্রোঞ্জ রুবিনার
চলতি বছরের এপ্রিলে নিউজিল্যান্ডের কুক স্ট্রেট চ্যানেল জয় করেন সায়নী। দ্বিতীয় বাঙালি মহিলা হিসেবে সেই নজির স্পর্শ করেছিলেন ২৬ বছরের তরুণী। এবার নর্থ চ্যানেল জয়। খুশির হাওয়া সায়নীর কালনার বাড়িতে। মেয়ের ঘরে ফেরার অপেক্ষায় পরিবারের সদস্যরা। সায়নীর কথায়,‘‘কিছুটা সাঁতরানোর পর উল্টো স্রোত এতটাই বাধা হয়ে দাঁড়ায় যে দীর্ঘক্ষণ এক জায়গায় কাটাতে হয়েছে।’’ শেষমেশ ‘পঞ্চম সিন্ধু’ জয় করে ইতিহাসে নাম তুলে অভিভূত তিনি। এই অসাধ্যসাধনের পর নর্থ চ্যানেল কর্তৃপক্ষ, তাঁর ছায়াসঙ্গী বাবা তথা প্রশিক্ষক রাধেশ্যাম দাস ও সকল শুভানুধ্যায়ীকে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।