প্রতিবেদন : বাংলার সম্মান নিয়ে খেলতে শুরু করেছে বিজেপি। বাংলার অভিমানে আঘাত করেছে। তাই ২০২৬-এর লড়াই বাংলা ও বাঙালির জন্য। বাংলার সম্মান রক্ষার জন্য। রবিবার গান্ধী মূর্তির পাদদেশে বিজেপির বাংলাবিদ্বেষের প্রতিবাদে গর্জে উঠল তৃণমূল যুব কংগ্রেস। তৃণমূল যুব কংগ্রেসের রাজ্য সভানেত্রী সায়নী ঘোষের হুঙ্কার, এবার চোখে চোখ রেখে লড়াই করতে হবে। বাংলার সম্মান নিয়ে যারা লড়াই করছে, তাদের বিদায় দিতে হবে। এদিনের ধরনা সমাবেশে সায়নী ঘোষ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জেলার যুব সভাপতিরা। ছিলেন উত্তর কলকাতার যুব সভাপতি শান্তিরঞ্জন কুণ্ডু, দক্ষিণ কলকাতার যুব সভাপতি সার্থক বন্দ্যোপাধ্যায়, হাওড়ার সদরের যুব সভাপতি কৈলাস মিশ্র। এছাড়াও ছিলেন ঋজু দত্ত, শ্রেয়া পান্ডে, প্রিয়দর্শিনী ঘোষ বাওয়া প্রমুখ।
আরও পড়ুন-চাপে পড়ে হলফনামা
বাংলায় কথা বললেই বিজেপি-রাজ্যে অত্যাচার, হেনস্থার শিকার হচ্ছেন বাংলার শ্রমিকেরা। বাংলাদেশি বলে দেগে দিয়ে তাঁদের পুশব্যাক করা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর প্রতিবাদে ভাষা আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন। সপ্তাহান্তে গান্ধীমূর্তির পাদদেশ নিয়ম করে বসছে ধরনা। এদিন ধরনামঞ্চ থেকে বিজেপিকে বাংলা জ্বালাও পার্টি বলে তোপ দেগে সায়নী বলেন, বাংলায় সম্মান, বাংলাভাষার সম্মান, বাঙালির সম্মান রক্ষায় লড়াই চলবে। মনে রাখবেন তৃণমূল সর্বধর্ম সমন্বয়ের প্রতীক। বিজেপি বাংলাকে যতই জ্বালাক, আমাদের নেত্রী বাংলাকে ঠান্ডা করবেন। স্বাধীনতার ৭৫ বছর পরে এমন একটা পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে, আমরা ভাবিনি। ওদের মুখে কোনও উন্নয়নের কথা নেই, শুধু বিভাজনের কথা। ভাষা নিয়েও বিভাজনের খেলা শুরু করেছে বিজেপি। সেই বিজেপির খেলা ২০২৬-এ শেষ করে বাংলার মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েই আস্থা রাখবেন।
এদিন সায়নীর কটাক্ষ, বিজেপি বাংলা বলে শুধু গালিগালাজের জন্য। শনিবার অকথ্য ভাষায় বাংলার মুখ্যমন্ত্রী ও পুলিশকে আক্রমণ করেছে। এই বিজেপি আছি থেকে ছিলাম হয়ে যাবে। কারণ এরা বাংলা ভাষাকে বাংলাদেশি ভাষা বলে। যে ভাষায় আমরা মা বলেছি, দিদি বলে ডেকেছি, সেই ভাষাকে তুমি বাংলাদেশি ভাষা বলবে? বাংলার মানুষ তার যথাযোগ্য জবাব দেবে। এদিন এসআইআর ও অনুপ্রবেশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদিকে নিশানা করেন সায়নী। বলেন, এমন প্রধানমন্ত্রীর আমাদের দরকার নেই, যারা আটকাতে পারে না অনুপ্রবেশ। এটা আপনাদের ব্যর্থতা। পহেলগাঁওয়ে কী করে অনুপ্রবেশ হল, তারও জবাব দিতে হবে। আর কত ধানে কত চাল, সেটা বাংলার মানুষ আপনাদের বোঝাবে। কারণ এটা আপনার ‘সুনার বাংলা’ নয়, এটা আমাদের ‘সোনার বাংলা’।