কমল মজুমদার, জঙ্গিপুর: আপেল বাগান খুঁজতে বাঙালিকে আর হিমাচল বা কাশ্মীর যেতে হবে না। মুর্শিদাবাদ এলেই আপেল বাগানের ছাওয়ায় দু’দণ্ড জিরিয়ে নিতে বা ইচ্ছা হলে তুলতে পারেন আপেলের সঙ্গে সেলফি। ক্রান্তীয় উষ্ণ অঞ্চলে আপেল গাছ লাগিয়ে, গাছে ফলন ধরিয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন বেলডাঙার কাছারিপাড়ার বাসিন্দা পেশায় নপুকুরিয়া-নতুনপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক রূপেশ দাস। ছোটবেলা থেকেই গাছ লাগানোর শখ পরে বন্ধ হয়ে যায়। করোনার সময় নতুন করে গাছ লাগানো শুরু করেন তিনি। বর্তমানে রূপেশবাবুর বেলডাঙার বাড়ির দেড় কাঠা বাগানে আপেল, জাফরান ছাড়াও বিভিন্ন রকমের গাছ আছে, যার অনেকগুলোই উষ্ণ ক্রান্তীয় জলবায়ুতে বেশিদিন বাঁচে না।
আরও পড়ুন-চাকরি-ক্ষতিপূরণ নয়তো জমি ফেরত, ইসিএল-খনিতে বিক্ষোভ বাসিন্দাদের
রূপেশবাবু জানান, ‘বাড়িতে আপেল ফলাবার ইচ্ছায় বছর তিনেক আগে হিমাচল প্রদেশের একটি ফার্ম থেকে অনলাইনে বেশ কটি আপেল চারা কিনে বসাই। গত বছর থেকে গাছগুলো ফল দিতে শুরু করে। তবে এবছর গাছে আপেলের সংখ্যা এবং ওজন দুটোই বেড়েছে।’ প্রসঙ্গত, গতবারের শীতে নিজের বাড়িতে জাফরান ফুল ফুটিয়েও চমকে দিয়েছিলেন রূপেশ। তিনি বলেন, ‘বেলডাঙায় দিনে তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি পর্যন্ত উঠে যায়। সেখানে আপেল ফলানো সহজ নয়। বহু পরিশ্রম করতে হয়েছে। গাছগুলোর পরিচর্যা ছাড়াও জৈব এবং পরিমাণমতো রাসায়নিক সার, পর্যাপ্ত জল পায় এবং গাছের গোড়ায় জল না জমে সেদিকেও নিয়মিত লক্ষ্য রাখতে হয়েছে।’ তিনটি ভিন্ন প্রজাতির আপেল গাছ বাড়িতে লাগিয়েছিলেন তিনি। বর্তমানে গাছগুলোতে প্রায় ১৫ কেজি আপেল হয়েছে। আপেলগুলো যাতে প্রখর রোদে দ্রুত লাল হয়ে পেকে না যায় তার জন্য বেশ কিছু আপেল কাগজ দিয়ে মুড়িয়ে রেখেছেন। তবে রূপেশবাবুর বাড়ির আপেল খেয়ে গুণমুগ্ধ একাধিক প্রতিবেশী জানান, ওঁর বাড়ির আপেলের স্বাদ এবং রসের পরিমাণ বাজারের আপেলের থেকে অনেকটাই বেশি। রূপেশবাবু জানান, সরকারি অনুদান এবং কিছুটা জায়গা পেলে ইচ্ছে আছে বেলডাঙায় বড় আকারে আপেল চাষ করার।