প্রতিবেদন : ইতিমধ্যেই কোন স্কুলে পড়ুয়াপিছু কতজন শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মী রয়েছেন তার হিসেব চেয়ে পাঠিয়েছে বিকাশ ভবন। সেই অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিন্তু পড়ুয়া কম রয়েছে এমন এমন স্কুলগুলোকে সংযুক্ত করে দেওয়া হবে। সোমবার চেতলা বয়েজ স্কুলের ইংরেজি মাধ্যমের উদ্বোধন করতে গিয়ে এমনটাই জানালেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। দেখা গিয়েছে মাধ্যমিক স্তরে ৭ শতাংশ ড্রপ আউটের সংখ্যা বেড়েছে।
এ বিষয়টি স্বীকার করে নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সম্পূর্ণ পিটিআর রিপোর্ট হাতে এলে বোঝা যাবে। ইতিমধ্যেই চেতলার দুটি স্কুলকে সংযুক্ত করার কথা বলা হয়েছে। এরকম বহু স্কুলকে যেখানে পড়ুয়ার সংখ্যা কম তাদের সংযুক্ত করে দেওয়া হবে। ড্রপ আউট কেন হচ্ছে সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। তবে শিক্ষামন্ত্রী দাবি করে বলেন, কেন্দ্রীয় সরকারকে বলা হয়েছিল দশম শ্রেণি পর্যন্ত মিড-ডে মিল দেওয়ার জন্য। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত মিড-ডে মিল থাকায় পড়ুয়ারা ক্লাস এইটের পর থেকে আর স্কুলে আসতে চাইছে না। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে গরিব পরিবারে এই ধরনের ঘটনা ঘটছে। তবে পিটিআর রিপোর্ট হাতে না এলে কোন স্কুলে কেমন পরিসংখ্যান তা বোঝা যাবে না বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী।
খ্যাতনামা স্কুল চেতলা বয়েজ স্কুল একেবারে সেজে উঠেছে নতুন মোড়কে। প্রথম শ্রেণি থেকে একেবারে দ্বাদশ শ্রেণি পুরোটাই ইংরেজি মাধ্যমে রূপান্তরিত হল। এই নতুন মাধ্যম চালু করলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু ও মেয়র ফিরহাদ হাকিম। উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ কলকাতার সাংসদ মালা রায়-সহ বিভিন্ন বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। আর্থিক ভাবে পিছিয়ে পড়া ছেলেমেয়েরাও এখন এই স্কুলে নিখরচায় ইংরেজি মাধ্যমে পড়তে পারবে। স্কুলের গোটা ভবনটি নতুন করে রং করে ঝাঁ চকচকে করা হয়েছে৷ প্রতিটি ক্লাসঘরে থাকছে এসি, কাঁচের জানলা, আধুনিক মানের লোহার টেবিল-চেয়ার, আছে ইলেকট্রনিক্স স্মার্ট বোর্ড।
শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, দীর্ঘদিন ধরে একটা চিন্তাধারা চলে আসছিল তা হল বাংলা বনাম ইংরেজি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আসার পর সেই ভাবনাচিন্তার বদলে এসেছে, ‘বনাম’-এর পরিবর্তে হয়েছে ‘এবং’। এই স্কুলে এখন বাংলা মাধ্যমের পাশাপাশি ইংরেজি মাধ্যমেও পড়ানো হবে ।