সংবাদদাতা, নদিয়া : গাঁদাফুলের চাহিদা এখন শুধুমাত্র পুজোয় নয়, বৈজ্ঞানিক কারণেও এর ব্যবহার হচ্ছে। বর্তমানে চাষ করা সবথেকে বেশি উন্নত প্রজাতির ‘শিরাকল’ গাঁদায় মেলে ভরপুর লিউটিন। গাঁদার প্রাকৃতিক উপাদান এই লিউটিন চোখের চিকিৎসা ছাড়াও বহু ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়। লিউটিন উৎপাদন বেশি হবে এমন নতুন প্রজাতি সৃষ্টি করতে দীর্ঘদিন গবেষণা চলছে কল্যাণীর বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে। মূল উদ্দেশ্য, এমন একটি প্রজাতির জন্ম দেওয়া যাতে ফুলের মধ্যে থাকা লিউটিনের পরিমাণ বেশি হয়। অবশেষে দীর্ঘদিন পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর কাঙ্ক্ষিত সাফল্য মিলতে চলেছে। কীভাবে তৈরি হচ্ছে এই বিশেষ প্রজাতির গাঁদা?
আরও পড়ুন-পুলিশ কাকুর বাইকে সময়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছল মাফিজা
বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ক্রপ রিসার্চ ইউনিট’ সূত্রে জানা গিয়েছে, বাজারে প্রচলিত গাঁদার একটি প্রজাতি শিরাকল। তাঁদের গবেষণায় এই প্রজাতির গাঁদাফুলকেই ‘৫০০ গ্রে’গামা রেডিয়েশনে ফেলে জন্ম দেওয়া হচ্ছে নতুন প্রজাতির গাঁদা। এখনও পাকাপোক্ত কোনও নাম দেওয়া না হলেও প্রাথমিকভাবে বলা হচ্ছে ‘শিরাকল মিউটেন্ট’। ইউনিটের বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই প্রজাতির গাঁদা চাষ করে চাষিরা অধিক মুনাফা করতে পারবেন। তাছাড়া সহজে নষ্ট হয় না এই ফুল। যদিও এর চেয়েও বড় দুটি গুণগত বৈশিষ্ট্য রয়েছে শিরাকল মিউট্যান্টের। সংশ্লিষ্ট প্রোজেক্টের এক বিজ্ঞানীর কথায়, চোখের রোগ চিকিৎসায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হল লিউটিন। যেহেতু আমরা গামা রেডিয়েশনের মাধ্যমে ফুলের গুণগত মান অনেক বাড়িয়ে ফেলতে পারছি, তাই ভরপুর লিউটিন থাকছে এর মধ্যে। শুধু তাই নয়, সাধারণ প্রজাতির গাঁদা বাড়িতে ব্যবহারের পর বাসি হয়ে গেলে তা থেকে আর লিউটিন বের করা যায় না। তবে শিরাকল মিউট্যান্ট থেকে ওই অবস্থাতেও লিউটিন পাওয়া সম্ভব। এ-প্রসঙ্গে ভিসিকেভি-র উপাচার্য অশোককুমার পাত্র বলেন, এর আগেও একাধিক গবেষণায় সাফল্য পেয়েছে আমাদের ক্রপ রিসার্চ ইউনিট।