দুই মেদিনীপুরে আতঙ্ক এখন স্ক্রাব টাইফাস

তাঁদের মধ্যে অধিকাংশই পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বাসিন্দা। বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৫ শিশুর মধ্যে ৩ জনের বাড়ি পটাশপুর ও চণ্ডীপুর এলাকায়।

Must read

সংবাদদাতা, তমলুক : দুই মেদিনীপুরে চোখ রাঙাচ্ছে স্ক্রাব টাইফাস। দুই জেলাতেই পাল্লা দিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। কোলাঘাটের একটি বেসরকারি শিশু হাসপাতালের তরফে দাবি করা হয়েছে, চলতি মাসে এ পর্যন্ত মোট ২৫ জন স্ক্রাব টাইফাস আক্রান্ত রোগীকে শনাক্ত করেছেন তাঁরা। তাঁদের মধ্যে অধিকাংশই পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বাসিন্দা। বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৫ শিশুর মধ্যে ৩ জনের বাড়ি পটাশপুর ও চণ্ডীপুর এলাকায়।

আরও পড়ুন-লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকায় মায়ের আবাহন

বাকি দুই শিশুর বাড়ি পশ্চিম মেদিনীপুরের সবং ও ঘাটালে। তাদের মধ্যে পটাশপুরের এক শিশুর অবস্থার অবনতি হওয়ায় ৭ দিন ধরে তাকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়। স্ক্রাব টাইফাসের আক্রমণ নিয়ে সতর্ক রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা স্বাস্থ্য দফতর। পটাশপুর, চণ্ডীপুরের সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলিতে এবং কোলাঘাটের ওই বেসরকারি হাসপাতালে বাড়তি নজর দিতে বলা হয়েছে বিভাগীয় কর্মীদের। পূর্ব মেদিনীপুরের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বিভাস রায় বলেন, ‘‘স্ক্রাব টাইফাস নিয়ে জেলায় সচেতনতামূলক প্রচার চলছে। যদি কারও জ্বর, মাথাব্যথা, বমি, শ্বাসকষ্ট হয় তাহলে হাসপাতালগুলিতে যোগাযোগ করতে বলা হচ্ছে। চিকিৎসকদের পরামর্শ নিতে বলা হচ্ছে।”

আরও পড়ুন-বকেয়া ২০ কাজ নিয়ে হল পর্যালোচনা, উত্তরবঙ্গে আরও উন্নয়ন-ভাবনা

চিকিৎসকদের কথায়, বর্ষায় এই রোগের প্রকোপ বেশি দেখা যায়৷ তাই আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ার আশঙ্কা করছেন তাঁরা। জ্বর, সর্দি, কাশি ও পেটের সমস্যা ছাড়াও শরীরের কোথাও পোকা কামড়ানোর মতো কিছু দাগ দেখলেই সতর্ক হতে বলছেন চিকিৎসকরা। ট্রম্বিকিউলিড মাইট নামের পোকার ব্যথাহীন কামড়ে ছড়ায় এই রোগ। শরীরে ঢোকে স্ক্রাব টাইফাস ব্যাকটিরিয়া। প্রথমেই ধরা পড়লে সম্ভব দ্রুত মোকাবিলা। দেরি হলেই হয়ে ওঠে প্রাণঘাতী।

Latest article