প্রতিবেদন: ধর্মনিরপেক্ষতা যে ভারতীয় সংবিধানের অসংশোধনীয় এবং অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ তা আরও একবার মনে করিয়ে দিল শীর্ষ আদালত। ১৯৭৬ সালের ৪২ তম সংবিধান সংশোধনীকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে একটি আবেদন জানানো হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। তারই প্রেক্ষিতে সোমবার আদালত জানিয়ে দিল এক্ষেত্রে কোনও নোটিশ জারি করা হবে না। নোটিশ জারির আবেদন সরাসরি খারিজ করে দেয় বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ও সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চ। কী ছিল ১৯৭৬ এর ৪২ তম সংবিধান সংশোধনীতে? প্রস্তাবনা সংশোধন করে সংযোজন করা হয়েছিল ধর্মনিরপেক্ষ এবং সমাজতান্ত্রিক শব্দদুটি। সংযোজিত ওই শব্দদুটি বাদ দেওয়ার জন্যই একাধিক আবেদন জমা পড়ে শীর্ষ আদালতে।
আরও পড়ুন-মনোনয়নপত্র জমা দিলেন তৃণমূল প্রার্থী সনৎ দে
কিন্তু বিচারপতি সঞ্জীব খান্না এবং সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, ধর্মনিরপেক্ষ কথাটি যেহেতু সংবিধানের মূল ভিত্তি, তাই এখন কোনও অবস্থাতেই তার পরিবর্তন সম্ভব নয়। সমাজতন্ত্র এবং ধর্মনিরপেক্ষতার ধারণা সময়ের হাত ধরে বিবর্তিত হয়েছে। আদালতের বিভিন্ন রায়েও এই ধারণা স্বীকৃত হয়েছে আগে। সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ, উদার অর্থনীতির আবহেও যথেষ্ট গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে সমাজতন্ত্র শব্দের। বিচারপতির মন্তব্য,ভারত নিজস্ব ধ্যানধারণায় একটি নিজস্ব ধর্মনিরপেক্ষ দেশ গঠন করেছে। শুনানি প্রসঙ্গেই বিচারপতি খান্না প্রশ্ন করেন, আপনারা কি চান না ভারত ধর্মনিরপেক্ষ থাকুক?