ঘরছাড়াদের সঙ্গে তুমুল সংঘর্ষ নিরাপত্তা বাহিনীর

Must read

ইম্ফল: আবার অগ্নিগর্ভ মণিপুর (Manipur)। এবার ঘরে ফিরতে চাওয়া আশ্রয় শিবিরের কয়েকশো মানুষের সঙ্গে ব্যাপক সংঘর্ষ বাধল নিরাপত্তা বাহিনীর। সোমবার সকালে ঘরমুখী জনতার পথ আটকায় জওয়ানরা। কিন্তু জনতা নাছোড়বান্দা। প্রথমে শুরু হয় বিক্ষোভ। মুহূর্তের মধ্যেই তা মোড় নেয় খণ্ডযুদ্ধে। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে প্রথমে লাঠি, পরে কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়ে নিরাপত্তাবাহিনী। কিন্তু তাতেও পিছু হটেনি বিক্ষুব্ধ মানুষের দল। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সোমবার রীতিমতো অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে একৌ, দোলাইথাবি, ইয়েংখুমান এলাকার ত্রাণশিবিরগুলো।

আরও পড়ুন-ছক ছিল সিরিয়াল বিস্ফোরণের, দিল্লিকাণ্ডের তদন্তে জইশের ‘হোয়াইট-কলার’ জঙ্গি মডিউলের তথ্যফাঁস

ঘরছাড়াদের অভিযোগ, অন্তত ৫০ হাজার মানুষকে অযথা আটকে রাখা হয়েছে বিভিন্ন ত্রাণশিবিরে। শুরু হয়ে গিয়েছে ঐতিহ্যবাহী সাঙ্গাই উৎসব। কিন্তু প্রশাসন তাঁদের উৎসবে অংশ নিতে দিচ্ছে না। তাঁদের প্রশ্ন, সরকার যখন দাবি করছে, শান্তি ফিরে এসেছে মণিপুরে। অবস্থা স্বাভাবিক, তা হলে ঘরছাড়াদের ঘরে ফিরতে দিতে আপত্তিটা কোথায়? তা ছাড়া, ঘর ছেড়ে পালাতে বাধ্য হওয়ার পর থেকেই তাঁদের রোজগারের খাতা প্রায় শূন্য। কৃষকদের খেতের কাজও বন্ধ। এই অবস্থায় সংসার চলবে কী করে? সকলেরই প্রশ্ন, কেন অযথা আমাদের বন্দি রাখা হচ্ছে? লক্ষণীয়, নভেম্বরের শুরুতেই ঘরে ফিরতে চেয়েছিলেন মণিপুরের বাস্তুচ্যুতরা। মেইতেই, কুকি সকলেই আছেন সেই দলে। কুকি এলাকা চূড়াচাঁদপুর, তোরবুংয়ের অজস্র মানুষ বাফার এলাকার ব্যারিকেড ভেঙে নিজ নিজ গ্রামের দিকে মিছিল করে এগোতে শুরু করেন। কিন্তু পথ আটকায় নিরাপত্তা বাহিনী। বেধে যায় সংঘর্ষ। এদিকে ২ বছর পরে ইম্ফলে শুরু হয়েছে সাঙ্গাই উৎসব। বয়কট আর বিক্ষোভের মধ্যেই। কিন্তু বাস্তুচ্যুতদের যৌথমঞ্চ এই নিয়েও প্রতিবাদ জানিয়েছে। তাদের প্রশ্ন, সংঘর্ষ শেষ হতে না হতেই কেন এই উৎসবের আয়োজন?

Latest article