প্রতিবেদন : কলকাতায় মেসিকে কেন্দ্র করে উন্মত্ত নাচানাচি। তাঁর কাছে গিয়ে ছবি তোলার জন্য ছিল গণ হিস্টিরিয়া। মেসিকে ঘিরে কিছু লোক আর নানা ধরনের সিকিউরিটি। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হল, কলকাতায় মেসির দু’পাশে মৌমাছির মতো ভিড় থাকলেও, হায়দরাবাদ কিংবা মুম্বইয়ে তাঁদের দেখা মেলেনি। দেখা যায়নি সেই তথাকথিত সিকিউরিটিদেরও। এঁরা কোথায় গেলেন? কলকাতায় থাকলেও মুম্বই কিংবা হায়দরাবাদে কেন নেই? কোনও বিশেষ কারণ কি? কলকাতায় তাঁদের এভাবে থাকতে কে বা কারা নির্দেশ দিয়েছিল? এর যথাযথ অনুসন্ধান হওয়া প্রয়োজন। এই প্রশ্ন তুলেছেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক ও মুখপাত্র কুণাল ঘোষও।
আরও পড়ুন-জাতির লজ্জা! মনরেগার নাম বদলে ভি বি-জি রাম জি, ছেঁটে ফেলা হল মহাত্মা গান্ধীর নাম
সোমবার তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, কলকাতায় মেসিকে ঘিরে যা হয়েছে মুম্বই কিংবা হায়দরাবাদে তা হয়নি! আয়োজনে থাকা সংশ্লিষ্টদের ভূমিকা খতিয়ে দেখা হোক। কেন আয়োজকরা ক্রীড়ামন্ত্রীকে এড়িয়ে থেকেছেন? শুধু তাই নয়, কেন্দ্রীয় বাহিনী ও আয়োজকদের নিরাপত্তাকর্মীদের ভূমিকা ও কাদের নির্দেশে এই মেসিকে ঘিরে রাখা তা খতিয়ে দেখা দরকার। কারণ কলকাতায় তাঁরা ঘিরে ছিলেন, অন্যত্র নেই। যেখানে বেশি ফাঁকা ঘুরে বেড়িয়েছেন সেখানে দর্শকদের কোনও অসুবিধা হয়নি। কলকাতায় অতিরিক্ত ‘ক্লোজ প্রক্সিমিটি’ পাস বা টিকিট দেওয়া হয়েছিল কেন?
আরও পড়ুন-লজ্জা! কেরলের বাম নেতার নিম্নরুচির মন্তব্য
গোটা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ করে প্রশ্ন উঠেছে, যে সুচারু পরিকল্পনা হায়দরাবাদ এবং মুম্বইয়ে করা হয়েছিল, কলকাতার ক্ষেত্রে তা করা হল না কেন? কেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস যুবভারতীতে আয়োজকদের জন্য অপেক্ষা করলেও তাঁরা আসেননি এবং মেসির জন্য কী কী পরিকল্পনা করা হয়েছে যুবভারতীতে তার কোনওটাই জানানো হয়নি। কেন্দ্রীয় বাহিনী মাঠে নেমেছে, অথচ পুলিশকে পুরো পরিকল্পনা বলা হয়নি। ভোটের মুখে বাংলাকে বদনাম করতে কি অত্যন্ত সুকৌশলে বিভিন্ন পরিকল্পনা করা হয়েছিল? আয়োজক শতদ্রু দত্ত কেন রহস্যজনক কারণে ইভেন্টের আগের দিন যুবভারতীতে আসেননি? যেভাবে ভাঙচুর হয়েছে এবং জয় শ্রীরাম স্লোগান দেওয়া হয়েছে, তাতে করে আগাম পরিকল্পনা করে গন্ডগোল বাধানো এবং তারপরে বাংলার ইমেজ খারাপ করতে যা যা করার দরকার সেই সব পরিকল্পনা করেই কি মাঠে আসা হয়েছিল! পিছনে বিজেপির উসকানি ও নোংরা চিত্রনাট্য!

