দুলাল সিংহ, বালুরঘাট: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারে বারেই বলেছেন কর্মসূষ্টির কথা। তাঁর দেখানো পথেই এগিয়ে চলেছে বাংলা। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার মহিলারাও কর্মসূষ্টি করে স্বনির্ভর হচ্ছেন। খেজুরের রস দিয়ে পাটালি গুড় তৈরি করে স্বনির্ভরতার পথে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার একাধিক গ্রামের বাসিন্দারা। শীত পড়তেই খেজুর গাছ থেকে মাটির হাড়ির মাধ্যমে রস সংগ্রহ দৃশ্য গ্রাম বাংলার চেনা দৃশ্য। খেজুর গাছ থেকে রস সংগ্রহের জন্য শীত আগমনের পূর্বে কয়েকমাস ধরে চলে নিয়মিত পরিচর্যা।
আরও পড়ুন-বহাল তবিয়তে জিনাত, বনকর্মীদের টিমওয়ার্ককে সাধুবাদ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী
উল্লেখ একদা শীত পড়তেই দক্ষিণ দিনাজপুর বংশীহারি ব্লকের একাধিক গ্রাম এবং গঙ্গারামপুর ব্লকের বড়াইল, শেরপুর, শিববাড়ি, সর্বমঙ্গলা সহ একাধিক গ্রামের বাসিন্দারা বাড়িতে বাড়িতে খেজুরের রস সংগ্রহ করে খেজুরের পাটালি গুড় তৈরীর ব্যস্ততা দেখা যেত। একদা নিজেদের খাবারের উদ্দেশ্যে তৈরি খেজুরের পাটালি গুড় তৈরির কাজ বর্তমানে রুপ নিয়েছে ব্যবসায়িক আয়ে। দেদার বিক্রির কারনে তৈরি করা ওই পাটালি গুড় বাজার ছেয়েছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বাজার সহ পড়শি জেলার বাজারগুলিতে। ফলে খেজুরের পাটালি গুড় তৈরি করে আয়ও হচ্ছে ভাল। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে বাজারে খেজুরের পাটালি গুড়ের চাহিদা থাকায় ইতিমধ্যেই ওই সমস্ত গ্রামের মহিলারাও স্বনির্ভরতার সম্ভাবনা দেখে গুড় তৈরির কাজে যুক্ত হচ্ছেন। গঙ্গারামপুর থানা এলাকার অন্তর্গত গোচিয়ারের বুড়িপুকুর গ্রামের বাসিন্দা গুড় তৈরির কাজে নিযুক্ত অমিত চৌধুরী জানান এবছর খেজুরের রস সংগ্রহ করার জন্য লোক দিয়ে তিনি প্রায় ২০০ খেজুর গাছ পরিচর্ষা করিয়েছেন। খেজুরের পাটালি তৈরি করতে করতেই বিথি চৌধুরি জানিয়েছেন, তাঁদের তৈরি খেজুরের পাটালি গুড় বালুরঘাট, গঙ্গারামপুর, তপন এবং মালদার বাজারে বিক্রি হচ্ছে, ভাল আয় হচ্ছে।