বছর শেষে বিরাট ঘোষণা, প্রথম শ্রেণি থেকেই চালু সেমেস্টার পদ্ধতি

Must read

আমূল পরিবর্তন হচ্ছে প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থায়। এই প্রথম রাজ্যে প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থায় শুরু হচ্ছে ক্রেডিট বেস সেমিস্টার (Semester) সিস্টেম। ২০২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে শুরু হবে এই নয়া পদ্ধতি। শুক্রবার এমনটাই জানালেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল।

এবার থেকে বার্ষিকভাবে নয় বরং বছরের দুবার সেমিস্টার (Semester) সিস্টেমে পরীক্ষা দিতে হবে প্রাথমিক স্তরের পড়ুয়াদের। পুরো শিক্ষাবর্ষকে ভাঙা হয়েছে দুটি ভাগে। ২ জানুয়ারি থেকে জুন মাস পর্যন্ত প্রথম পর্যায়ে পরীক্ষা হবে ফার্স্ট সেমিস্টারের। এরপর জুলাই থেকে ২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত দ্বিতীয় পর্যায়ের ক্লাসের উপর ভিত্তি করে পরীক্ষা হবে সেকেন্ড সেমিস্টারের। এছাড়াও সরকারি অনুমোদিত যত প্রাথমিক স্কুল রয়েছে সে সমস্ত জায়গায় পর্ষদের তৈরি করে দেওয়া এক ধরনের প্রশ্নেই পরীক্ষা হবে। পর্ষদ সভাপতি জানান, এই বিষয়ে আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর কাছে প্রস্তাব জানানো হয়েছিল। বৃহস্পতিবার শিক্ষা দফতরের তরফে সবুজ সংকেত মিলতেই এই ভাবনাকে বাস্তবায়নের রূপ দেওয়া হচ্ছে। কেন্দ্রীয় শিক্ষানীতি অনুসারে রাজ্যের শিক্ষানীতির প্রাসঙ্গিকতা মেনে নিয়ে এই পদ্ধতি তৈরি করা হয়েছে।

আরও পড়ুন- বছরে ২২৪৪ কোটি চাঁদা তুলে ‘জুমলা’র সরকার প্রতিষ্ঠা মোদির

গৌতম পাল জানান, সেমিস্টারের সঙ্গে এবার থেকে যুক্ত হবে ক্রেডিট পয়েন্ট। এই ক্রেডিট পয়েন্ট পাওয়া যাবে পড়ুয়ার গঠনমূলক মূল্যায়নের ভিত্তিতে। কোন বিষয়ে ১০০ নম্বরের পরীক্ষা হলে সেক্ষেত্রে ৪০ নম্বর বরাদ্দ থাকবে ক্রেডিট পয়েন্ট হিসেবে এবং বাকি ৬০ নম্বর পাওয়া যাবে লিখিত পরীক্ষার মাধ্যমে। একজন পড়ুয়া ক্লাসে কতটা মনোযোগ সহকারে পড়াশোনা করছে এবং কতক্ষণ সময় অতিবাহিত করছে সেই সমস্ত মূল্যায়নের ভিত্তিতে শ্রেণী শিক্ষক বা শিক্ষিকা ওই পড়ুয়াকে ক্রেডিট পয়েন্ট দেবে। এছাড়াও শিক্ষামূলক ভ্রমণে নিয়ে গেলে পড়ুয়া কতটা সেখানে সক্রিয় সে বিষয়টির উপর ভিত্তি করেও ক্রেডিট পয়েন্ট দেওয়া হবে।

এক্ষেত্রে জাতীয় শিক্ষানীতি অনুসারে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীর পড়ুয়াদের প্রতি সেমিস্টারে ৩৭৬ ঘণ্টা অতিবাহিত করতে হবে। সে ক্ষেত্রে প্রতি সেমিস্টারে ক্রেডিট পয়েন্ট থাকবে ১৩.৫ করে। আবার তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত পড়ুয়াদের প্রতি সেমিস্টার অর্থাৎ ছয় মাসে ৪৬০ ঘণ্টা ক্লাস করতে হবে। সে ক্ষেত্রে তাদের ক্রেডিট পয়েন্ট হবে ১৬.৫। স্কুলের তরফে যে রেজাল্ট প্রকাশ করা হবে সেই রেজাল্টে প্রত্যেকটি বিষয়ের নম্বরের পাশাপাশি ক্রেডিট পয়েন্টও দেওয়া থাকবে। এক্ষেত্রে তৈরি করা হচ্ছে স্টেট ডিজিটাল লকার। যা একেবারে যুক্ত থাকবে সেন্ট্রাল ডিজিটাল লকারের সঙ্গে। এক্ষেত্রে একজন পড়ুয়া তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত এই রাজ্যে পড়ে যদি ভিন রাজ্যে গিয়ে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তি হতে চায় তাহলে সেক্ষেত্রে সে ওই রাজ্যে গিয়ে নিজের ক্রেডিট পয়েন্ট দেখিয়ে পরবর্তী ক্লাসে ভর্তি হতে পারবে। তখন পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তি হতে গেলে এই ক্রেডিট পয়েন্ট গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হিসেবে বিবেচিত হবে। এভাবে সর্বভারতীয় স্তরে পরীক্ষা দিতে অনেক সুবিধা হবে পড়ুয়াদের।

Latest article