ক্ষোভে-অপমানে ইস্তফা দিলেন কর্নাটকের প্রবীণ আইপিএস অফিসার

বেলগাভির ভরা জনসভায় মঞ্চে ডেকে সিদ্দারামাইয়া তাঁকে চড় মারার চেষ্টা করেছিলেন বলে অভিযোগ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এনভি বরমানির।

Must read

প্রতিবেদন: কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ার প্রকাশ্যে অপমানজনক ব্যবহারের প্রতিবাদে ইস্তফা দিলেন আইএএস অফিসার। বেলগাভির ভরা জনসভায় মঞ্চে ডেকে সিদ্দারামাইয়া তাঁকে চড় মারার চেষ্টা করেছিলেন বলে অভিযোগ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এনভি বরমানির। ইস্তফা দিয়ে স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, কোনওমতে চড় এড়িয়েছি। কিন্তু যেভাবে আমাকে অত মানুষের উপস্থিতিতে অপমান করা হল, তা মেনে নেওয়া সম্ভব নয় কিছুতেই। ওই ঘটনায় তিনি যে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত খোলাখুলিভাবে জানিয়ে দিয়েছেন তাও।

আরও পড়ুন-চার গোলে জয়ের ছন্দে মোহনবাগান

তাঁর কথায়, চড় গালে লাগেনি ঠিকই, কিন্তু প্রকাশ্য জনসভায় তাঁর এই অপমানের দৃশ্য দু’দিন ধরে দেখানো হয়েছে টেলিভিশনে। এই দৃশ্য দেখেছে গোটা রাজ্য, গোটা দেশ। মুখ্যমন্ত্রীর সম্মান রাখতে এবং পুলিশের সম্মানের কথা ভেবে সেদিন নীরবে মঞ্চ ছেড়েছি। কিন্তু ৩১ বছর নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করার পরে অত মানুষের সামনে ওই ঘটনায় ভেঙে পড়েছেন আমার স্ত্রী ও সন্তানরা। আইএএস জানিয়েছেন, সেদিনের ঘটনায় স্তম্ভিত হয়েছিল গোটা সভা। নেমে এসেছিল শ্মশানের নিস্তব্ধতা। ঠিক কী হয়েছিল ঘটনাটা? গত ২৮ এপ্রিল বেলগাভির ঘটনা। মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে বেলগাভিতে কংগ্রেসের ডাকা এক জনসভায় উপস্থিত হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া। এইসময় মঞ্চের কাছে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন একদল বিজেপি সমর্থক মহিলা। এতেই প্রবল চটে যান সিদ্দারামাইয়া। মঞ্চ থেকেই এএসপি বারমানিকে উদ্দেশ্য করে চিৎকার করে বলেন, বেরিয়ে যান এখান থেকে। তারপরে তাঁকে চড় মারতে উদ্যত হন বলে অভিযোগ। অল্পের জন্য নিজেকে বাঁচিয়ে নেন বারমানি। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তোলপাড় শুরু হয়েছে কর্নাটকের রাজনৈতিক মহলে। ড্যামেজ কন্ট্রোলে নেমে পড়েছেন রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জি পরমেশ্বর। তবে ঘরে-বাইরে রীতিমতো চাপে পড়ে গিয়েছেন, কংগ্রেসি মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া।

Latest article