কলকাতা পুরসভায় পৃথক ক্যাডার

পুর দফতরের তরফে একটি প্রস্তাব ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারের কাছে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুর ও নগর উন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম

Must read

প্রতিবেদন : স্বচ্ছ ও উন্নততর পুর পরিষেবা নাগরিকদের কাছে পৌঁছে দিতে এবার পুর আধিকারিকদের আলাদা ক্যাডার তৈরি করার কথা ভাবছে রাজ্য সরকার। প্রস্তাবিত মিউনিসিপাল সার্ভিস এক্সিকিউটিভ ক্যাডারের এই আমলারা কাজ করবেন শুধুমাত্র বিভিন্ন পুর সভার এক্সিকিউটিভ অফিসার হিসেবে। এই মর্মে পুর দফতরের তরফে একটি প্রস্তাব ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারের কাছে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুর ও নগর উন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।

আরও পড়ুন-সাঁতরাগাছিতে সহায় ড্রোন

মঙ্গলবার বিধানসভায় তিনি জানান, পুর প্রশাসন পরিচালনার ডব্লিউবিসিএস ক্যাডার মর্যাদার অফিসার প্রয়োজন। পুরো প্রশাসনে এ ধরনের অফিসার এর সংখ্যা ঘাটতি আছে। যারা আছেন তাদের অনেকেরই পুর প্রশাসন চালানোর বিষয়ে প্রয়োজনীয় জ্ঞান নেই। এজন্য তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। বিশেষ করে ছোট পুরসভা গুলিতে প্রশিক্ষিত আমলার অভাব রয়েছে। সেখানে অনেক সময় অবসরপ্রাপ্ত আমলাদের এক্সিকিউটিভ অফিসার পদে নিয়োগ করা হচ্ছে। তাদের আর্থিক ক্ষমতা সীমিত হওয়ায় সেখানেও সমস্যা তৈরি হচ্ছে। সেই জন্য এই পৃথক আমলা শ্রেণি তৈরির পরিকল্পনা। পুর মন্ত্রী জানিয়েছেন দুটি উপায়ে এই ক্যাডারে নিয়োগ করার কথা ভাবা হচ্ছে। প্রথমত বিভিন্ন পুরসভায় ডেপুটি ম্যানেজার পদে কর্মরত আধিকারিকদের পদোন্নতি দিয়ে সরাসরি এই সার্ভিসে নিয়োগ করা হবে। আপার ডিভিশন ক্লার্কদের মধ্যে থেকেও যোগ্য প্রার্থীদের বাছাই করে তাদের পদোন্নতি দিয়ে এই পদে উন্নীত করার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। একই রকম ভাবে পুরো ইঞ্জিনিয়ারদের জন্য একটি কমন সার্ভিস তৈরি করার প্রস্তাব অর্থ দফতরের কাছে পাঠানো হয়েছে বলে পুর মন্ত্রী জানিয়েছেন। তিনি বলেন যেসব পুর ইঞ্জিনিয়ার ভালো কাজ করছেন তাদেরকে উপরে তুলে আনার জন্য এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন-উদাসীন কেন্দ্র, ভাঙন প্রকট হচ্ছে

এর আগে বিভিন্ন পুরসভার এক্সিকিউটিভ অফিসারদের ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে পুরো আইনের একটি সংশোধনী এদিন আলোচনার পরে বিধানসভায় পাস হয়। বিরোধীদলের সদস্যরা অভিযোগ করেন সরকার নির্বাচিত পুর বোর্ডের ক্ষমতা কমিয়ে পুরসভায় আমলা তান্ত্রিক নিয়ন্ত্রণ কায়েম করার পন্থা খুলে দিচ্ছে। এই অভিযোগ খারিজ করে দিয়ে পুর মন্ত্রী বলেন, রাজ্যের ৯০ শতাংশ পুরসভা এখন তৃণমূল কংগ্রেসের দখলে। কাজেই সেই পুর বোর্ডের ক্ষমতা ছাঁটাই করার অভিসন্ধির অভিযোগ হাস্যকর। তিনি জানান, পুরসভাগুলো দক্ষতা এবং গতিশীলতা বাড়াতেই এই আইন সংশোধনের সিদ্ধান্ত।

Latest article