রাজকোট, ২৭ জানুয়ারি : কলকাতা আর চেন্নাইয়ে যে ছবি ছিল, রাজকোটে সেটা অদৃশ্য। স্পিনারদের জন্য এখানে তেমন কিছু নেই।
তাহলে চার স্পিনার নিয়ে ভারতের খেলার দায়ও নেই। রবি বিষ্ণুইকে হয়তো বসতে হবে মঙ্গলবার। স্পিনার কমিয়ে পেসার বাড়াতে গেলে একটাই সম্ভাবনা পড়ে থাকছে। হর্ষিত রানা হয়তো ঢুকবেন। ভারতীয় দলে আর একটা পরিবর্তনের কথাও শোনা যাচ্ছে। চিপকে ব্যর্থ জুরেলকে বসতে হতে পারে। অলরাউন্ডার শিবম দুবে এগারোয় এলে সিম অ্যাটাকে লোক বাড়বে।
আরও পড়ুন-ট্রেনের মহিলা কামরায় আগুন, আতঙ্ক
নিরঞ্জন শাহ স্টেডিয়াম বরাবর পাটা উইকেট সাজিয়ে বসে থাকে। তবু পেসাররা এখানে সামান্য সুবিধা পায়। ফলে দুটো দলই পেস আক্রমণে জোর দেবে। ২-০ এগিয়ে থাকা সূর্যকুমার যাদবদের জন্য অবশ্য উইকেট মাথাব্যথা হচ্ছে না। এই যে রিঙ্কু আর নীতীশকে পাওয়া যাচ্ছে না, সেটা নিয়েও ড্রেসিংরুমের চিন্তা নেই। যেহেতু মোমেন্টাম গৌতম গম্ভীরদের সঙ্গে। জিতলে সব ভাল, সেটা সব ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। রাজকোটে জিতলে সিরিজ ভারতের দখলে এসে যাবে। তখন বাকি দুই ম্যাচ নিয়মরক্ষার হবে। বাটলারের তাই এই ম্যাচ জিততে হবে। যাতে সিরিজে অন্তত ভেসে থাকতে পারেন।
মহম্মদ শামির ফিটনেস নিয়ে ব্যাটিং কোচ সীতাংশু কোটাক জানালেন, তিনি সম্পূর্ণ ফিট। খেলবেন কিনা তা অবশ্য স্পষ্ট করেননি তাই তাঁকে হয়তো এই ম্যাচেও বেঞ্চে থাকতে হবে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির কথা মাথা রেখে ধীরে ধীরে শামিকে ম্যাচে ফেরানোর চেষ্টা হচ্ছে। ২০২২-এর অস্ট্রেলিয়া সিরিজে বুমরাকে তাড়াহুড়ো করে খেলিয়ে টি ২০ বিশ্বকাপেই তাঁকে বাইরে রাখতে হয়েছে। সেই শিক্ষা নিয়ে এবার শামিকে নিয়ে তাড়াহুড়ো করছে না টিম ম্যানেজমেন্ট। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বুমরা শেষপর্যন্ত খেলতে না পারলে শামিই হবেন রোহিতের প্রধান অস্ত্র। ব্যাটিং কোচ স্পষ্ট জানালেন, শামিকে নিয়ে টিম ম্যানেজমেন্টের সুস্পষ্ট ভাবনা আছে।
আরও পড়ুন-ট্রেনের মাথায় উঠে রিলস! ছাত্রের মৃত্যু রেলের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন
প্রথম ম্যাচে অভিষেক শর্মা ও পরের ম্যাচে তিলক ভার্মা ব্যাটিংকে টেনেছেন। দুটো ম্যাচেই বল হাতে কামাল করেন বরুণ। সূর্যর রান না পাওয়া সমস্যার। রাজকোটে তিনি রান পেলে সেই সমস্যাও দূর হবে। তবে ইংল্যান্ডের জন্য বড় চিন্তা হল বাটলার ছাড়া কারও রান না পাওয়া। হ্যারি ব্রুক দুই ম্যাচে ডুবিয়েছেন। ইডেনে জোফরা আর্চার ও চিপকে আদিল রশিদ ছাড়া বোলিংও ব্রেন্ডন ম্যাকালামের সঙ্গে নেই। সবমিলিয়ে পশ্চিম ভারতেও ইংল্যান্ডই চাপে।