হারারে, ১৪ জুলাই : জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে শেষ ম্যাচেও সহজ জয় পেল ভারত। এই জয়ের পর টি-২০ সিরিজের ফল দাঁড়াল ৪-১। প্রথমবার ভারতের নেতৃত্ব দিয়ে সিরিজ জিতলেন শুভমন গিল। রবিবারের ম্যাচে ভারতের হয়ে ৫৮ রান করেন সঞ্জু স্যামসন। ২১ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন মুকেশ কুমার। ভারত এই ম্যাচ জিতেছে ৪২ রানে।
আরও পড়ুন-ইসলামপুরে গুলিবিদ্ধ ২ তৃণমূল নেতা
১০ ওভারের শেষে জিম্বাবোয়ের রান ছিল ৬৯/৩। ম্যাচ তখনও ফিফটি-ফিফটি। ১ রানে মাধেভেয়ারকে (০) মুকেশ বোল্ড করে দেওয়ার পর ব্রায়ান বেনেটকেও (১০) ইনিংসের তৃতীয় ওভারে ফিরিয়ে দেন তিনি। এরপর মারুমনি (২৭) আর মায়ার্স (৩৪) মিলে হাল সামলে নিয়েছিলেন। এই সিরিজে জিম্বাবোয়ের ব্যাটারদের মধ্যে সবথেকে বেশি রান করেছেন মায়ার্স। এদিন তাঁর সঙ্গে সিকান্দার রাজা (২২) যখন ব্যাট করছিলেন, জিম্বাবোয়ে তখনও জয়ের খোঁজে ছিল। কিন্তু শিবম দুবের বলে মায়ার্স আউট হয়ে যাওয়ার পর তারা জয়ের দৌড় থেকে হারিয়ে যায়। সিকান্দার রান আউট হয়ে যান। এরপর আর জয়ের সুযোগ ছিল না জিম্বাবোয়ের। তারা ১৮.৩ ওভারে ১২৫ রানে অল আউট হয়ে যায়। শেষদিকে আক্রম ২৭ রান করেছেন। কিন্তু তাতে ম্যাচের ফলে হেরফের হয়নি।
আরও পড়ুন-খুলল পুরীর রত্নভাণ্ডার
যশস্বী জয়সওয়াল আগেরদিন যেখানে শেষ করেছিলেন, এদিন সেখান থেকেই শুরু করেন। সিকান্দার রাজার প্রথম ওভারে দুটো ছক্কা মেরে সবে যখন বড় ইনিংসের দিকে এগোচ্ছেন, তখনই ভিতরে ঢুকে আসা বলে বোল্ড হয়ে গেলেন। হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠের এই উইকেটে যে টার্ন আছে সেটা আগেই বোঝা গিয়েছিল। স্পিনার সিকান্দার তাই বোলিং শুরু করেছিলেন।
সিরিজ আগেই ভারত জিতে যাওয়ায় রবিবারের পঞ্চম টি-২০ ম্যাচ ছিল নিয়মরক্ষার। তাতে টসে জিতে ভারতকে আগে ব্যাট করতে দিয়েছিলেন জিম্বাবোয়ে অধিনায়ক সিকান্দার। যশস্বী আউট হয়ে যাওয়ার পর তিনে আসেন অভিষেক শর্মা। যিনি একবার ক্যাচ দিয়ে বেঁচে যাওয়ার পর মুজারাবানির বলে আউট হয়ে গেলেন ১৪ রানে। এরপর শুভমন (১৩) যখন ফিরে যান, ভারত ৪০-৩। এদিন দুটি পরিবর্তন হয়েছিল দলে। মুকেশ কুমার ও রিয়ান পরাগ আসেন ঋতুরাজ ও খলিলের জায়গায়।
সঞ্জু ও রিয়ান পরাগ (২২) মিলে চতুর্থ উইকেটে পরিস্থিতি সামলে নিয়েছিলেন। ফলে ১০ ওভারের শেষে ভারতের রান দাঁড়িয়েছিল ৭৩/৩। দু’জনের জুটিতে ৬৫ রান উঠে যাওয়ার পর ফিরে যান রিয়ান। তবু সঞ্জুর জন্য ভারত ২০ ওভারে ১৬৭/৬ তুলে ফেলতে পেরেছিল। শিবম ১২ বলে ২৬ রান করেছেন। রিঙ্কু সিং (১১) ও ওয়াশিংটন সুন্দর (১) শেষপর্যন্ত নট আউট থেকে যান। মুজারাবানি ১৯ রানে ২ উইকেট নিয়েছেন। জিম্বাবোয়ের বাকি বোলিং ব্যর্থই।