পিকের বাড়িতে খুন পরিচারক! ধৃত গাড়িচালক

এরপরেই তিনি পরিচারক-পরিচারিকা, ড্রাইভার-সহ সকলকেই জিজ্ঞাসাবাদ করেন এবং কেউ টাকা নিয়ে থাকলে তা ফেরত দেওয়ার জন্য চাপ দেন।

Must read

প্রতিবেদন : প্রয়াত ফুটবলার পিকে বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে উদ্ধার পরিচারকের রক্তাক্ত দেহ। দোলের রাতে এই দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে প্রয়াত প্রাক্তন ফুটবলারের গাড়ির চালককে। বাড়ির পরিচারক গোপীনাথ মুহুরির রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয় শুক্রবার রাতে। খুনের অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন গাড়িচালক বরুণ ঘোষ। ফুটবলার পিকে বন্দ্যোপাধ্যায় মারা যাওয়ার পর সল্টলেকের বাড়িতে এখন থাকেন তাঁর মেয়ে। জানা গিয়েছে, দিন কয়েক আগে প্রয়াত ফুটবলারের মেয়ের ৫০০০ টাকা খোয়া যায়।

আরও পড়ুন-‘আইপ্যাকের কেউ টাকা চাইলে হেল্পলাইন নম্বরে জানান’: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়

এরপরেই তিনি পরিচারক-পরিচারিকা, ড্রাইভার-সহ সকলকেই জিজ্ঞাসাবাদ করেন এবং কেউ টাকা নিয়ে থাকলে তা ফেরত দেওয়ার জন্য চাপ দেন। তবে সেই ঝামেলা দুদিনের মধ্যেই মিটে যায়। দোলের দিন রাতে শুক্রবার বাড়িতে ড্রাইভার ও পরিচারক মদের আসর বসায়। সেখানেই কথায় কথায় টাকার প্রসঙ্গ ওঠে। বচসা পৌঁছায় চরম পর্যায়ে। এর পর বাড়ির রান্নাঘরে ঢুকে ছুরি নিয়ে বেরিয়ে আসে গোপীনাথ। বরুণের গলায় ছুরি ঠেকায় সে। সেই সময় দুই পরিচারিকা তাদের আটকানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু হঠাৎই ছুড়ি কেড়ে নিয়ে বরুণ গোপীনাথের পেটে পাল্টা সেই চুরি ঢুকিয়ে দেয়। এরপর একাধিকবার গোপীনাথকে ছুরি দিয়ে আঘাত করে সে। রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়ে গোপীনাথ। বিধাননগর দক্ষিণ থানার পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে। সেই মুহূর্তে রক্তাক্ত গোপীনাথকে বিধাননগর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এই ঘটনার পরেই গাড়ির চালক বরুণকে গ্রেফতার করা হয়। সে খুনের কথা স্বীকার করলেও টাকা দেওয়ার কথা স্বীকার করেনি। পাল্টা অভিযুক্তের দাবি, টাকা গোপীনাথই নিয়েছিল। তবে শুধু টাকার প্রসঙ্গ নিয়ে বচসাতেই খুন নাকি এর পেছনে আরও কোনও কারণ রয়েছে সে বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ। প্রয়াত ফুটবলারের দুই কন্যাকে জিজ্ঞাসাবাদের পাশাপাশি বাকিদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। খতিয়ে দেখা হচ্ছে বাড়ি ও তার সংলগ্ন এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ।

Latest article