সংবাদদাতা, হাওড়া : নামেই ‘বন্দে ভারত’ এক্সপ্রেস! হাওড়া-এনজেপি শতাব্দী এক্সপ্রেসের থেকে মাত্র ৪০ মিনিট কম সময়ে চলবে এই ট্রেন। খাবারদাবার থেকে শুরু করে চলাচলের সময় শতাব্দী এক্সপ্রেসের সঙ্গে সবই প্রায় একই। বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে যেমন দুপুরের খাবার বা রাতের খাবার দেওয়া হবে শতাব্দীতেও তেমনি দুপুর ও রাতের খাবার দেওয়া হয়। সকালে প্রাতঃরাশ বা সন্ধ্যায় স্ন্যাক্সও দেওয়া হয় শতাব্দীতে।
আরও পড়ুন-সুন্দরবনে ফের দেখা মিলল রয়্যাল বেঙ্গলের
বন্দে ভারত এক্সপ্রেসেও তাই দেওয়া হবে। স্রেফ এই ট্রেনের কামরায় বিমান সেবিকার অনুকরণে থাকছে ট্রেন সেবিকা। আর ব্রেইল পদ্ধতিতে বসার সিটের নাম্বারিং করা থাকছে। অন্ধ ব্যক্তিদের বসার সুবিধার জন্যই এমনটা করা হয়েছে। এ ছাড়াও প্রতিবন্ধীদের জন্য হুইলচেয়ার রাখা থাকছে। আর বিমানের ধাঁচে তৈরি হয়েছে শৌচাগারগুলি। এক্সিকিউটিভ বগিতে বসার সিটগুলি জানলার দিকে পুরোপুরি ঘোরানোর ব্যবস্থাও থাকছে। অন্য ট্রেনের সঙ্গে তফাত বলতে এইটুকুই। স্পিড প্রায় শতাব্দীর সমানই।
আরও পড়ুন-বাংলা পক্ষের প্রতিবাদ শহরে
রেল ট্র্যাকের উন্নতি না হওয়ায় ট্রেনের গতি ১৩০ কিমি ঘণ্টা ছোঁবে না। প্রতি ঘণ্টায় ১০০ কিমির কম গতিতেই চলবে এই ট্রেন। উল্টে ভাড়া শতাব্দীর প্রায় ১ দশমিক ৪ গুণ। ফলে সাধারণ মধ্যবিত্ত যাত্রীদের কতটা সুবিধা হল তা নিয়ে প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে। পাশাপাশি দুপুর দেড়টা নাগাদ এনজিপিতে নামার পর পর্যটকদের দার্জিলিং বা গ্যাংটক পৌঁছোতে সন্ধ্যা ৬টা-সাড়ে-৬টা বেজে যাবে। ফলে সারাটা দিনই পর্যটকদের নষ্ট হবে। শুধু রাতটুকু থাকার জন্য হোটেলে পুরো সারাদিনের ভাড়া গুনতে হবে বলে যাত্রীদের অভিযোগ।