প্রতিবেদন : জলপাইগুড়ির সেবকের আশ্রমে কী ঘটেছে, তার সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। আমরা এসব সমর্থনও করি না, আর আমাদের কেউ এই ঘটনায় জড়িতও নন। মঙ্গলবার বারাসতের সভামঞ্চ থেকে স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তিনি সাফ জানান, ওখানকার ঘটনার কথা আমার জানা নেই। যদি কেউ খুঁজে বের করতে পারেন কথা দিচ্ছি, যা ব্যবস্থা নেওয়ার আমরা নেব।
আরও পড়ুন-নন্দীগ্রামে গদ্দার অধিকারীকে শুনতে হল চোর চোর স্লোগান
মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, আমার নলেজে নেই কোথাও কোনও গন্ডগোল হয়েছে বা কোনও আশ্রমে কেউ আক্রমণ করেছে। আমরা এসব সমর্থন করি না। যদি কেউ খুঁজে বের করতে পারেন, কথা দিচ্ছি, যা ব্যবস্থা নেওয়ার আমরা নেব। কিছু সংবাদমাধ্যম মিথ্যে কথা লেখে। ওরা মিথ্যা বিজ্ঞাপন করেছে কাগজে। গতকাল হাইকোর্ট বলে দিয়েছে, এটা অন্যায়। এগুলো বেআইনি, এগুলো করা উচিত নয়। ইলেকশন কমিশন কেন ব্যবস্থা নেয়নি? আমি দেখে নিয়েছি কোর্ট অর্ডার দিয়েছে, এমনকী ইলেকশন কমিশনে অর্ডার দিয়েছে। এরপরেও আমাকে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করেছে, আমার দলকে আক্রমণ করেছে। আমি ডিফামেশনে যাব। অত সস্তায় ছাড়ছি না। আবার মিথ্যে কথা বলছেন, কেন বলছেন? বাংলায় যদি কোথাও গন্ডগোল হয় তাহলে আমার কাছে ইনফরমেশন আসে। আমার কাছে তো কোনও ইনফরমেশন এল না। আমি তো জানতে পারলাম না।
আরও পড়ুন-গরিবের চিকিৎসক হতে চান মেধাবী মুস্তাফিজুর
এরপর তিনি বলেন, আমাকে একজন সাংবাদিক বলল, সে-ই নাকি এনকোয়ারি করে দেখেছে নিজেদের পারিবারিক ব্যাপার। অনেকে জমি দিয়ে দেয় নানান ধর্মীয় কাজে, এটা তেমনই একটা ব্যাপার। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। আমি বলব না এটা অন্য কেউ করেছে, যেহেতু আমার জানা নেই। মনে রাখবেন, আমরা সুন্দরভাবে তৈরি করেছি হয়েছে স্বামী বিবেকানন্দের বাড়ি। বাড়িটা বিক্রি হয়ে যাচ্ছিল। আমার কাছে খবর দিয়েছিলেন আপনাদের জেলার মানুষ ডাক্তার সুব্রত মৈত্র। এক সপ্তাহের মধ্যে বাড়িটা পুরসভাকে দিয়ে আমি কিনিয়ে নিয়েছিলাম। সিস্টার নিবেদিতার বাড়ি দখল হয়ে গিয়েছিল বাগবাজারে। রাজ্য সরকারের টাকা দিয়ে কলকাতা কর্পোরেশনের মাধ্যমে আমি ওই বাড়ি কিনে দিয়েছি। দার্জিলিংয়ে যেখানে নিবেদিতা শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেছিলেন, সেই বাড়িও দখল হয়ে গিয়েছিল। তখন বিমল গুরুং ছিল জিটিএতে। বিমল গুরুংকে পাল্টা বাড়ি দিয়েছিলাম। কিন্তু নিবেদিতা যেখানে দেহত্যাগ করেছিলেন সেটা রক্ষা করে স্মৃতি হিসেবে রামকৃষ্ণ মিশনকে দিয়েছি।