প্রতিবেদন: ফের বোমাতঙ্ক। তবে এবার এই বোমা বিস্ফোরণের হুমকি দেশের অন্যতম সেরা ধর্মীয় পর্যটনস্থলে। এমনিতেই গত কয়েকদিন ধরে অন্তর্দেশীয় ও আন্তর্জাতিক মিলিয়ে শতাধিক বিমানে হুমকিবার্তা-সহ বোমাতঙ্কে ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক উড়ান পরিষেবা। কখনও বিমানের জরুরি অবতরণ করানো হচ্ছে। কখনও অন্য রুটে বিমান ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। কখনও আবার হাই-অ্যালার্ট জারি করে চলছে তল্লাশি। যদিও এখনও পর্যন্ত কোনও ক্ষেত্রেই সন্দেহজনক কিছুর সন্ধান মেলেনি। আর এবার এরই মধ্যে অন্ধপ্রদেশের বিখ্যাত তিরুপতি মন্দির সংলগ্ন একাধিক হোটেলে ছড়াল বোমাতঙ্ক। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উদ্বেগে পর্যটক ও হোটেল ব্যবসায়ীরা।
আইএসআই-এর সঙ্গে হাত মিলিয়ে তিরুপতি সংলগ্ন হোটেলে বিস্ফোরণের ছক খোদ তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রীর! চাঞ্চল্যকর এমনই এক ই-মেলে শোরগোল অন্ধ্রপ্রদেশের জনপ্রিয় তীর্থস্থান তিরুপতিতে। ওই উড়ো ই-মেলে দাবি করা হয়, মন্দির সংলগ্ন তিনটি হোটেলে রাখা রয়েছে বোমা। এই ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্ক ছড়াল পর্যটক ও স্থানীয়দের মধ্যে। পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই-এর সঙ্গে হাত মিলিয়ে তিরুপতি সংলগ্ন হোটেলে বিস্ফোরণের ছক কষা হয়েছে বলে চাঞ্চল্যকর এক ই-মেলে শোরগোল ওঠে অন্ধ্রপ্রদেশের জনপ্রিয় তীর্থস্থান তিরুপতিতে। ওই উড়ো ই-মেলে দাবি করা হয়, মন্দির সংলগ্ন তিনটি হোটেলে রাখা রয়েছে বোমা। পুলিশ সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তিরুপতি মন্দির সংলগ্ন তিনটি হোটেলে হুমকি মেল আসে। তার মধ্যে রয়েছে লীলা মহল, কপিলা তীর্থ ও আলিপিরির এক হোটেল। সেই ই-মেলে জানানো হয়, হোটেলে বিস্ফোরক রেখেছে পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই। সেগুলি সক্রিয় করে হোটেল উড়িয়ে দেওয়া হবে। রাত ১১টার মধ্যে হোটেল খালি করুন। হোটেল কর্তৃপক্ষের কাছে এই হুমকি ই-মেল আসার পরেই শোরগোল পড়ে যায়। ঝুঁকি না নিয়ে হোটেলগুলি সঙ্গে সঙ্গে খালি করে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন-জগন্নাথ মন্দির ঠিক আছে কিনা জেলাশাসকের কাছে জেনে নিলেন মুখ্যমন্ত্রী
খবর পেয়েই পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে ঘটনাস্থলে আসে ডগ স্কোয়াড ও বিশাল পুলিশবাহিনী। তিরুপতি মন্দির সংলগ্ন হোটেল তিনটি খালি করিয়ে তল্লাশি চালানো হয়। তবে সন্দেহজনক কোনও কিছু পাওয়া যায়নি বলে খবর। তবে কোন জায়গা থেকে এই হুমকিবার্তা এসেছিল, ই-মেল পরীক্ষা করে আইপি অ্যাড্রেস চিহ্নিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এদিকে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে চলা বিমানে বোমাতঙ্কের হুমকি-বার্তার মাঝেই হোটেলে এমন কাণ্ড। ফলে ভুয়ো হুমকি-বার্তার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার ও কঠোর শাস্তি দেওয়ারও চিন্তাভাবনা করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি।